অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে গত ২৮ জুলাই আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের পর দু’গ্রুপের সংঘর্ষে হাফেজ রেজাউল করীম নামে এক কওমি শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
শনিবার ৫ জুলাই ২৩ইং হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এই ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠনের নেতারা।
সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয় খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত সভায় নেতারা ওই ঘটনায় জড়িত আসামিদের অদ্যাবধি বিচারের আওতায় না আনায় সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। অনতিবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
উক্ত সভায় ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠিত কমিটির ( পরবর্তীতে বিলুপ্ত) সব সদস্যকে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি যথাযথ পদ বিন্যাসের জন্য সংগঠনের মহাসচিবকে আহ্বায়ক করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাবকমিটিও গঠন করা হয়।
হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ মুহাম্মদ ইয়াহইয়ার ইন্তেকালে তার পদ শূন্য হওয়ায় হাটহাজারী মাদ্রাসার বর্তমান মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি খলিল আহমদ কাসেমী এবং আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী- উভয়কে সিনিয়র নায়েবে আমিরের পদে মনোনীত করার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
হেফাজতের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি সব উলামায়ে কেরামের দ্রুত মুক্তি এবং ২০১৩ সালে থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অবিলম্বে সব নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুফতি জসিম উদ্দীন হাটহাজারী, মাওলানা আইয়ূব বাবুনগরী, মাওলানা আব্দুল আউয়াল (ডিআইটি), মুফতি মোবারক উল্লাহ (জামিয়া ইউনুছিয়া) মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান (ফতেহপুর), মাওলানা জহুরুল ইসলাম (মাখজানুল উলুম), আব্দুল কাউয়ূম সোবহানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রীস, মুফতি মুহাম্মাদ আলী কাসেমী, হাবীবুর রহমান নাজিরহাট, বোরহান উদ্দিন কাসেমী, খোবাইব (জিরি মাদ্রাসা), আনওয়ারুল আলম, জোনায়েদ বিন ইয়াহইয়া, কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, জামাল উদ্দিন (কুড়িগ্রাম), মুজিবুর রহমান হামিদি,তানভীরুল হক সিরাজী, রাশেদ বিন নূর, শামছুল ইসলাম জিলানী প্রমুখ।
এম.চৌ:/এসময়
Leave a Reply