মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
দক্ষিণ ভারতের প্রাকৃতিক সম্পদ ‘লাল চন্দন’, সেই সঙ্গে সিনেমার কন্টেন্ট ও স্ক্রিপ্ট—সবই প্রকৃতি থেকেই আসে। এই কন্টেন্ট ও স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে সর্বোচ্চ আয়কৃত এবং তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা ‘পুস্পা’।
প্রকৃতি আমাদের নানা রকমের সম্পদ দিয়ে থাকে—বাংলাদেশেও রয়েছে। এখন শুধু সেই প্রাকৃতিক উপাদান বা সম্পদকে কাজে লাগানোর সময় এসেছে। আমরা চাইলে এই প্রাকৃতিক কন্টেন্ট ও স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে একটি আলোচিত সিনেমা নির্মাণ করতে পারি।
এতে হয়তো প্রাকৃতিক সম্পদ পাচার সিন্ডিকেট পুরোপুরি আটকানো যাবে না, তবে সিনেমার আয়ের মাধ্যমে কিছুটা ক্ষতি কমানো সম্ভব এবং মানুষের ক্ষোভে সামান্য সান্ত্বনা দেওয়া যেতে পারে।
দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির এক বড় ধাঁধা ফাঁস হয়েছে। মাত্র তিন দিনে বেনাপোল ও আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৭০ হাজার কেজি ইলিশ ভারতে পৌঁছেছে, কিন্তু পরে খবর মিলেছে—রপ্তানির নামে ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে পাচার হচ্ছিল।
দেশীয় বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম ১,৮০০ টাকা, অথচ সরকার নির্ধারিত রপ্তানি মূল্য মাত্র ১,৫২৫ টাকা। প্যাকেটিং ও পরিবহন খরচ মিলিয়ে বৈধ রপ্তানি হলে লোকসান পড়ে প্রতি কেজিতে কয়েকশ’ টাকা। এই সুযোগেই পাচার সিন্ডিকেটের লাভের চক্র শুরু হয়েছে।
যুগান্তরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কলকাতা ও হাওড়া এলাকায় বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের গোপন আড়ত ও গুদাম, যার মাধ্যমে ইলিশ ভারতে নিয়ে গিয়ে তৃতীয় দেশে বিক্রি করা হচ্ছিল। সিন্ডিকেটটি বছরের পর বছর একইভাবে চলেছে, এবার “গোমর ফাঁস হওয়ায়” রপ্তানি স্থগিত করা হলো।
মৎস্য মন্ত্রণালয় জরুরি তদন্ত শুরু করেছে এবং সীমান্তে কড়া নজরদারি জারি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—উৎসবকালীন সীমিত রপ্তানি নীতিও অপব্যবহারের সুযোগ দিলে দেশের সম্পদ ও বাজারের স্থিতি বিপন্ন হতে পারে।
মোঃ শাহজাহান বাশার