নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে এক হাজার ১০ টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার শেখ ইনাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য বন্দরে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে সে হিসেবে বেনাপোল দিয়ে আমদানির পরিমাণ অনেক কম। কোন দিন ২ ট্রাক, কোন দিন ৫ ট্রাক, আবার কোন দিন আসছে ও না।
গত সোমবার (৫ জুন) সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর ওই দিন রাতে তিন ট্রাকে ৭৫ টন আমদানির মধ্য দিয়ে শুরু হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি।অর্থ্যাৎ ১১ দিনে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এক হাজার ১০ টন।
জানা যায়, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল। দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে গত মে মাসের মাঝামঝি থেকে দাম বাড়াতে থাকে। ৩০-৩৫ টাকার পেঁয়াজ কিনতে হয় ৯০-১০০ টাকা কেজি। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল সাধারণ মানুষকে। অবশেষে বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানির খবরে কয়েকটি জেলায় পেঁয়াজের দাম কমে আসলেও যশোরের বিভিন্ন স্থানে এখনো দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকার বেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজার মনিটরিং এর অভাবে ব্যবসায়ীরা যার কাছ থেকে যা পাচ্ছে তাই নিচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য কয়েকশ‘ টন ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) করেছেন আমদানিকারকরা। সেগুলোর মধ্যে অল্প অল্প করে পেঁয়াজ আসছে বেনাপোল দিয়ে। ভোমরা, হিলি ও সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে আমদানির পরিমাণ অনেক কম। আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া আছে এবং তা দ্রুত খালাস হচ্ছে।
Leave a Reply