নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়ায় স্বামী ইবাদুল ইসলামকে হত্যার দায়ে স্ত্রী আমেনা খাতুনকেযাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা
জজ ২য় আদালত এর বিচারক মোহাম্মদ আকরাম হোসেন এ রায় দেন।
সাজাপ্রাাপ্তআমেনা খাতুন জেলার কালিয়া উপজেলার আমতলা গ্রামের মৃত ছিদ্দিক ফকিরের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)
অ্যাডভোকেট ইমদাদুল ইসলাম এমদাদ।
আদালতের পেশকার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর আগে কালিয়া উপজেলার ফুলদাহ গ্রামের মো: ইবাদুল শেখের সঙ্গে আমেনা খাতুনের বিবাহ হয়।বিবাহের পর তাদের সংসারে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান জন্মলাভ করে।সংসারে অভাব অনটন নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগে থাকতো।
সাংসারিক অশান্তির কারণে ২০২০ সালের মে মাসের ৯ তারিখে আমেনা খাতুন তার পিতার বাড়ি পার্শবর্তী আমতলা গ্রামে চলে যান।রাতে ইবাদুল তার স্ত্রীকে নিজের বাড়িআনতে তাঁর শ্বশুর বাড়ি আমতলা গ্রামে যান।পরের দিন সকালে মামলার বাদী ইবাদুল এর পিতা সবুর শেখ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন তার ছেলে ইবাদুল শশুর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় কালিয়া থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়।পরে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।তদন্তকালে প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে আমেনা খাতুন পুলিশের নিকট স্বামীকেহত্যার কথা স্বীকার করেন।পরে আদালতে আমেনা খাতুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পিবিআই তদন্ত শেষে আমেনা খাতুনকে স্বামী হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) জমা দেয়। মোট ১৭ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আমেনা খাতুনের বিরুদ্ধে
আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- প্রদান ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ড দেন বিচারক।
রায় ঘোষনার সময় সাজাপ্রাপ্ত আমেনা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply