চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমার খবরে দেশের বাজারেও কেজিতে ১০ টাকা কমেছে সয়াবিন তেলের দাম। কিন্তু নতুন দাম কার্যকরের দু’দিন পরও কমেনি বাজারে। এখনো পূর্বের সেই চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন দামের তেল বাজারে আসতে আরো সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করতে হবে।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন নতুন দাম অনুযায়ী বোতলজাত সয়াবিন তেলে প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে ১৭৯ টাকা।
৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪৩ টাকা কমিয়ে ৮৭৩ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৯ টাকা।
খোলা পামঅয়েল লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে ১২৮ টাকা এবং বোতলজাত পামঅয়েল ১২ টাকা কমিয়ে ১৪৮ টাকা লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্ধারিত দাম বুধবার থেকে বাজারে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত বাজারে কার্যকর হয়নি।
লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলার কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এ বাজারের বিভিন্ন দোকানে এখনো প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ১৯৭ টাকায়।
পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৯৯ টাকায়, পামঅয়েল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কর্ণফুলী বাজারের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বলেন, দাম কমলে আমরাও খুশি হই। কারণ দাম বাড়লে শুধু ক্রেতারাই নয়, বিক্রেতারাও বেশি দামে কিনতে হয়। তাছাড়া দাম বাড়ার কারণে মিতব্যয়ী হয়ে গেছে মানুষ।
এতে বিক্রিও কমে গেছে। আবার যারা সচেতন ব্যবসায়ী দাম কমলে পূর্বের দামের তেল ফেরত দিতে চাইলে কোম্পানিগুলো তা ফেরত নিতে চায় না। যে কারণে দাম কমলেও তাদের পূর্বের দামেই বিক্রি করতে হয়।
তিনি দাবি করে বলেন, আবার দাম কমার পর নতুন দামের তেল সেই নির্ধারিত দামেই বিক্রি করা হয়। কারণ পণ্যের গায়ে দাম লেখা থাকে। চাইলেই কিন্তু প্রতারণা করা যায় না। মূলত প্রতারণা হয় পাইকারিতে এবং কোম্পানিদের হাত থেকে। খুচরা ব্যবসায়ীরা তার শিকার আর ক্রেতারা ভুক্তভোগী।
ক্রেতা সেলিম উদ্দিন খাঁন বলেন, এখন কোনো পণ্যের দাম কমেছে শুনলেই বাজারে গিয়ে আগে সে পণ্যটি কেনার চেষ্টা করি। মাসিক বাজারের খরচে লাগাম টানতেই এমনটা করি।
আর কোনো পণ্যে দাম বেড়েছে দেখলে সেটা যথাসম্ভব কম কিনে থাকি। তেলের দাম কমার খবরে চাইলাম মাসের জন্য পাঁচ লিটারের একটি বোতল নিয়ে নিবো। কিন্তু দাম একই রয়েছে। তাই আর কিনছি না।
এদিকে চলতি সপ্তাহে আবারো বেড়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। তবে কমেছে আটার দাম। পেঁয়াজ মান ভেদে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার রসুন ১৪০ টাকা থেকে দুই ধাপে দাম বেড়ে গতকাল বাজারে বিক্রি হয় ২১০ থেকে ২২০ টাকায়।
আদা ৩০০ থেকে ৩১০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। যা আগে বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চিনির দাম।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। কাঁচাবাজার ও মাছের বাজারে দাম গত সপ্তাহের মতই অপরিবতির্ত রয়েছে
Leave a Reply