বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বগুড়া সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক জিএম শামসুল আলমের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে অনিয়মে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক।
রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে মাদ্রাসা ক্যাম্পাস চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা ভাষা সৈনিক গাজীউল হক সড়কে অবস্থান নেন। কিছু সময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিএম শামসুল আলম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি নিশ্চিত করে দেওয়ার কথা বলে মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার খণ্ডকালীন শিক্ষক ও মাদ্রাসার মসজিদের ইমাম হারুনুর রশিদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেন। কিন্তু পরে চাকরি না পাওয়ায় হারুন টাকা ফেরত চাইলে বিরোধ শুরু হয় অধ্যাপক শামসুলের সঙ্গে।
গত বৃহস্পতিবার এবতেদায়ী শাখার এক নারী শিক্ষক দুই মাস আগের একটি ঘটনা উল্লেখ করে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন সহকর্মী হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে। হারুন এবং শিক্ষার্থীদের দাবি, অধ্যাপক শামসুলের প্ররোচনাতেই এমন মিথ্যা অভিযোগ করেন ওই নারী শিক্ষক।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান জানান, অধ্যাপক শামসুল চাকরির কথা বলে তিন লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। সেটি ফেরত দেবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। আর ওই নারী শিক্ষক জানিয়েছেন, অধ্যাপক শামসুলের কথায় তিনি মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। বিষয়গুলো নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে গেছে।
সহকারী অধ্যাপক জিএম শামসুল আলম বলেন, ‘অধ্যক্ষ মহোদয় অত্যন্ত চাপে পড়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। যার কল রেকর্ডও আছে। তবে আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়।’
Leave a Reply