রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে দুই শিশু নিখোঁজের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালছে। এ অভিযান চালাচ্ছেন রাজশাহীর ফায়ার সর্ভিসের ডুবুরিদল। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও তাদের কোন খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আত্নীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা পদ্মানদীর তীর ঘেষে অপেক্ষা করছে তাদের পাওয়ার আশায়।
অপরদিকে ওই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিখোঁজের পরিবারের সদস্যরা চান তাদের জীবিত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। অন্তত তাদের লাশ পেলে নিজেদের সান্তনা দিয়ে নিজহাতে দাফন করবো এটাই আশা করছি। গতকাল শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে মহানগরীর মতিহার থানার সাতবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শিশুরা হলো, মতিহার থানার চর সাতবাড়িয়া গ্রামের মো: সুখচানের ছেলে মো: সিয়াম (১১) ও একই গ্রামের মো: লেবাসের ছেলে মো: সাজিম (১২)।
নিখোঁজ সাজিমের নানা মোস্তফা জানান, বাড়ীতে বিয়ের আয়োজন ছিলো এই সময়ে কয়েকজন মিলে নদীতে গোসল করতে নামে। কয়েকজন গোসল করে উঠে আসলেও তারা দুইজন উঠে আসতে পারিনি। পানির স্রোতের পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কারো মরদেহও পাওয়া যায়নি। আমরা চাই অন্তত মরদেহটি পেলে দাফন করে নিজের মনকে সান্তনা দিতে পারবো।
নিখোঁজ সাজিমের ফুফা জানান, বিয়ে বাড়ীতে বর যাত্রী আসবে। এই সময় তারা নদীতে গোসল করবে বলে জানান। তার মা নিষেধ করলেও বলে আমি তো প্রতিদিন নদীতে গোসল করি তাই নদীতেই গোসল করে আসসি । পরে জানতে পারি তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে। ২৪ ঘন্টা পার হয়েগেছে, এখন তাদের জীবিত পাওয়ার আর আশা নাই। আমরা চাই অন্তত মরদেহটি পেলে নিজেরা সান্তনা দিতে পারবো।
স্থানীয় এলকাবাসীরা জানান, নিখোঁজ সাজিমের বাবা সবজি বিক্রেতা। সে ডাসমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। সে খুবই মিশুক প্রকৃতির ছেলে সবার সাথে ভালো সম্পর্ক আছে। ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় সে খবু ভালো। খেলাধূলার নেশায় বেশী। আমরা তার জন্য শোকাহত। আমরা শুধু চাই তাদের দুই জনের লাশটি ফিরো পাই।
রাজশাহী আরএমপি নৌ পুলিশের ইনচার্জ সহকারি পরিদর্শক (এসআই) মাহি জানান, গতকাল উদ্ধার তৎপরতা চালাই ফায়ার সার্ভিসের দল। সাথে আমরা ও স্বেচ্ছাসেবীরা সহযোগিতা করছি। গতকাল তাদের খোঁজ না পাওয়ায় আজকেউ উদ্ধার অভিযান চলমান আছে।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, ঘটনাস্থলে ৩ জন ডুবুরি কাজ করছে। স্রোতের কারণে কাজ করতে কিছু অসুবিধা হচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে স্রোতের কারণে দূরে চলে গেছে। তাদেরকে উদ্ধারে আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এম.চৌ:/এসময়
Leave a Reply