যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
মহান মুক্তিযুদ্ধে টিপু সুলতান পরম বীর মুক্তিযোদ্ধা
স্বাধীন বাংলাদেশ আজ বিশ্ব উন্নয়নে চমক বোদ্ধা
রাজনীতির মাঠে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নেতা
এম পি হিসাবে সাহসী মানুষ জনগনের মাথার ছাতা
আজ ওর জন্য নিরব কান্না উপজেলা মনিরামপুরে
তিনি ঘুমিয়ে আছেন বীর তারার মাঝে ঐ দুরে।
বর্ণাঢ্য রাজনীতিক যশোর-৫ মণিরাপুর সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি মহান মুুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গনের সংগঠক এ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানের ৬ষ্ঠ মৃত্যু দিবস ১৯ আগষ্ট।
ছয় বছর আগের এই দিনে রাত সাড়ে ৯ টায় রাজধানী ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৯ বছর বয়সে এই রাজনীতিবিদ ইন্তেকাল করেন।
অ্যাড. খান টিপু সুলতান ১৯৪৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল হামিদ খাঁন এবং মাতা আনজীবন আরা। তার মাতুল এবং তার পৈত্রিক উভয় বংশ জমিদার ছিলেন। স্ত্রী ডা. জেসমিন আরা বেগম পেশায় ছিলেন চিকিৎসক।
তার দুই পুত্র সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে হুমায়ুন সুলতান শাদাব আইন পেশায় সম্পৃক্ত। ছোট ছেলে জোবায়ের সুলতান মালয়েশিয়ার একটি ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত টিপু সুলতান ঢাকা সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় জড়িত ছিলেন।
ছাত্র জীবনে তিনি অসম্প্রদায়িক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। সাংগঠনিক দক্ষতায় ১০ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তিনি যশোর শহর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
১৯৬৭ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৯ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এফএফ কামান্ডের দায়িত্বসহ ৮ নং সেক্টরে গণসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের আগে ১৯৭১ সালের ২০ মার্চ তিনি জেলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় যুবসংহতি পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া ঢাকাস্থ খুলনা বিভাগীয় আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও যশোর বিভাগ আন্দোলনের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
যশোর-৫, মণিরামপুর আসন থেকে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেন। এর মধ্যে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে প্রয়াত এ রাজনীতিক সংসদ সদস্য বা এমপি নির্বাচিত হন।
ডুমুরিয়ার ধামালিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের মায়ের কবরের পাশে প্রয়াত এ নেতা চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তার ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার মণিরামপুরস্থ বাসভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পারিবারিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
Leave a Reply