1. admin@esomoy.com : admin :
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫১ অপরাহ্ন

ডাবের দাম যশোরে ৩ গুণ বৃদ্ধি

মালিক উজ জামান
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

যশোর জেলা প্রতনিধিঃ প্রচণ্ড গরম আর ডেঙ্গুর কারণে যশোরের সর্বত্র ডাবের দাম বেড়েছে তিনগুণ। ১২০ থেকে ১৩০ টাকার নিচে বাজারে কোনো ডাব নেই। এ দামে যে ডাব মিলছে, সেগুলো ছোট-মাঝারি আকারের। আর বড় সাইজের একেকটি ডাবের দাম ১৫০ টাকা বা তার থেকেও বেশি রাখা হচ্ছে।

 

 

যশোর শহরের লাল দিঘীর পাড়ে ক্ষুদে সাইজের একটি ডাব ১০০টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। যশোর সদর হাসপাতাল তথা বিভিন্ন ক্লিনিকের পাশে ডাবের মূল্য আরো বেশি। তবে সেখানে নতুন ডাব বিক্রেতা দেখলেই পুরাতনরা ধাওয়া করে তাড়িয়ে দিচ্ছে বলে জোর অভিযোগ রয়েছে।

 

 

 

বিক্রেতারা বলছে, এমনিতে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে ডাবের ফলন কম থাকে। এরমধ্যে ডেঙ্গুর কারণে চাহিদা বেড়েছে। এ সময় কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে পিচ্ছিল গাছে উঠে ডাব পাড়াও কমেছে। এ কারণে বাজারে আরও কমে গেছে সরবরাহ। সবমিলিয় দাম এখন ঊর্ধ্বগতি।

 

 

যশোর শহরে অন্তত: ১০০ ছোট বড় ডাব বিক্রেতা। এর মধ্যে রয়েছে, বড় বাজার, থানার সামনে, চিত্রামোড়, সিভিলকোর্ট মোড়, রেলস্টেশন, সদর হাসপাতাল, কুইন্স হসপিটাল, কেন্দ্রীয় কারাগার, খাজুরা

 

 

বাসস্ট্যান্ড, মনিহার বাসস্ট্যান্ড, শঙ্করপুর বাস টার্মিনাল, চাঁচড়া বাজার, বাবলাতলা, চাঁচড়া চেকপোষ্ট, চাঁচড়া বাজার, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, পালবাড়ি, আরিফপুরমোড়, ধর্মতলা, কারবালা, হাইকোর্ট মোড়। এসব স্থানে মঙ্গলবার ৫ সেপ্টেম্বর ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে নানা সাইজের ডাব বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 

বেনাপোল চেকপোস্টের ডাব বিক্রেতা আশিক মিয়া বলেন, প্রচণ্ড গরম আর ডেঙ্গু ডাবের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি বছর এ সময় ডাবের দাম সবচেয়ে বেশি থাকে। বিশেষ করে এ সময় আবহাওয়া থাকে প্রচণ্ড গরম। তারপরও ডেঙ্গুর প্রকোপ।

 

 

সেজন্য চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি দামও বেড়েছে। গ্রামগঞ্জে বৃষ্টি হচ্ছে। গাছ থেকে ডাব পাড়া যাচ্ছে না। যারা গ্রাম থেকে ডাব নিয়ে এসে আমাদের কাছে বিক্রি করতো তারা এখন আগের মতো ডাব আনতে পারছে না। সরবরাহ কম থাকায় চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ বেশি। এ কারণে তারা দামও কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।

 

 

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় রাস্তার পাশে ডাব বিক্রি করছিলেন জনৈক বৃদ্ধ। তিনি তার ভ্যানে থাকা ছোট আকারের একেকটি ডাবের দাম চাইলেন ১২০ টাকা করে। মাঝারি আকারের ডাবের দাম চাইলেন ১৩০ টাকা আর সবচেয়ে বড় আকারের ডাবের দাম চাইলেন ১৫০ টাকা।

 

 

বেনাপোল বাজারে প্রায় ৭ থেকে ১০টি ভ্যানে ডাব বেচা-বিক্রি হয়। সেখানে ১২০ টাকার নিচে কোনো ডাব পাওয়া যায়না। তবে এখানে ডাবের দাম হাসপাতালগুলোর সামনের দোকান থেকে ১০-২০ টাকা কম দেখা গেছে।

 

 

 

পাইকারি ডাব বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, এখানে শ হিসেবে ১০০ ডাব বিক্রি হয়। বড় সাইজের প্রতি ১০০ ডাব পাইকারি ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এত দাম আগে কখনো ছিল না। কিছুদিন আগেই দুই-তিন হাজার কম ছিল।
ডাবের পাইকারি বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, এখন ডাবের খুব চাহিদা। বছরের এ সময় নানান ধরনের জ্বর ও অন্যান্য রোগের প্রকোপের কারণে দাম বাড়ে। প্রতি বছর এ সময়টাতে চড়া দাম থাকে।

 

 

যশোরের শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক গরম আবহাওয়া ও ডেঙ্গুর কারণে ডাবের চাহিদা থাকায় একশ্রেণির অসাধু ডাব ব্যবসায়ী বেশি দামে ডাব বিক্রি করছে। খুব শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে। যাতে ডাবের মূল্য সহনীয় পর্যায় আসে।

 

এস এম /এসময়

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It