যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ চিহ্নিত প্রতারকের পাল্লায় পড়ে এক নারী ক্ষুদে থ্রিপিছ ব্যবসায়ি চরম বিপাকে পড়েছেন। শহরের ষষ্ঠীতলায় ওই প্রতারক চক্রের হোতা হানা দিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমান থ্রিপিছ মূল্য ঠিক করে নিয়ে এখন আর টাকা দিচ্ছেনা। উল্টো আরেকটি মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে যশোর কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ দাবি করে ওই নারী ব্যবসায়ির কাছে টাকা চাচ্ছে বলে জোর অভিযোগ রয়েছে।
মৃত আবুল কাশেমের কন্যা রুমানা বেগম (৩৮) যশোর শহরের ষষ্ঠীতলায় একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়ি ভাড়া থাকেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর ভোর বেলায় ওই বাড়িতে হাজির হয়ে তিনি ডাকাডাকি শুরু করেন। এরপর বাড়িওয়ালা প্রধান ফটকের তালা খুলে তাকে ঢুকতে দেন। এরপর তিনি প্রতি পিচ ১২০০ টাকা হিসাবে ৩০ পিচ থ্রি পিচ নিয়ে যান একটু পরে বিকাশের দোকান বা ব্যাংক খুললে টকা দেওয়ার অঙ্গীকারে।
এরপর টাকা না দিয়ে তিনি টালবাহানা করতে থাকেন। এর কিছু সময় পর থেকে কোতয়ালি মডেল থানার পরিচয় দিয়ে ০১৭৩১-০৪৩১৩৭ নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ওই রুমানা বেগমের কাছে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে থানায় ধরে এনে টাকা আদায় করে নেওয়া হবে বলে কথিত ওই পুলিশ কর্তা আল্টিমেটাম দেন।
ওই নারী থ্রি পিচ ব্যবসায়ি রুমানা বেগম বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর কে জানালে তিনি ওই নম্বরে ফোন দিয়ে দ্বিতীয়বার টাকা চাইতে নিষেধ করে দেন। কিন্ত ওই ব্যক্তি আবার ফোন দিয়ে টাকা দাবি করছে এবং হুমকি দিচ্ছে বলে ভূক্তভোগী ও এলাকার লোকজন জানান।
ফোনদাতা ওই ব্যক্তি পুলিশ কিনা তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
প্রতারক চক্রের হোতা নিজের নাম আনিছুর রহমান ও ঝিনাইদহ কোর্টের উকিল দাবি করেছেন। এই প্রতারক পালসার মোটর বাইকে চড়ে যশোরের আদালত এলাকায় অবস্থান করেন। তবে তার প্রকৃত নাম ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ঝিনাইদহ বার কাউন্সিলে যোগাযোগ করা হলে ওই মোবাইল ফোন নাম্বারের ব্যক্তি সেখানকার কোন উকিল ব্যাবহার করেননা বলে জানান। তারা ওই টাউট ব্যক্তিকে ধরে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনার জন্য দাবি জানান।
ভূক্তভোগী রুমানা বেগম জানান, জমাজমির বিষয়ে যশোরের আদালতে গেলে ওই টাউট ব্যক্তি নিজেকে উকিল পরিচয় দিয়ে তার মোবাইল ফোন নাম্বার ও বাসার ঠিকানা নিয়ে নেন। এরপর সাত সকালে তার বাড়ি হাজির হয়ে ৩০ পিচ থ্রি পিচ দরদাম ঠিক করে ক্রয় করেন বাকিতে। তবে দাম পরিশোধ করেননি। উল্টো অন্য মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফোন দিয়ে তার প্রাননাশের ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দিচ্ছে।
রুমানা বেগম বিভিন্ন অফিস ও বাসাবাড়িতে হোম ডেলিভারিতে থ্রিপিচ বিক্রি করেন। তার স্বল্প পুজি ওই প্রতারক হজম করে দেওয়ায় তিনি এখন স্বর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন বলে জানান। একদিকে সংসার পরিচালনা আরেক দিকে টাউট প্রতারক চক্রের জালে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অজানা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তাকে আরো কাবু করে দিয়েছে। কখন কি হয় তাই তিনি ভয়ে ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন।
এস এম /এসময়
Leave a Reply