উহ আহ করছিল জাড়ে ছিল থর থর কাপুনী
আগুনের পরশ পেতে চারিদিকে ওদের চাহনী
মানবতার কর্মী এসে ওদের গায়ে কম্বল জড়ালেন ডিসিি
কর্ম যেথা সহায়তা সুবিধা বঞ্চিতকে বিভেদ নেই মানুষ মুচী
সরকারি মানুষ তবু তার রয়েছে বাঙালী আবেগী জোর মন
অসহায় দরিদ্রকে তাই শীতে সহায়তায় তার গভীর স্পন্দন
এভাবে বাঙালীর পাশে যদি থাকে বলিষ্ঠ আরেক বাঙালী
সারা বিশ্ব স্মার্ট উন্নয়নে হ্যা গভীর উল্লাসে দেবে হাততালী
রেলস্টেশন যেথা ভবঘুরে পাগল আর ভিক্ষুকের বসবাস
সাধু জেলা প্রশাসকের শীতে কম্বল দিয়ে মানবতার আশ্বাস
ফুটপাতে থাকা নুর জাহান বা পাগল কলিম এবার অবাক
কঠিন ঠান্ডা, শীতের কাপড়, হয়ে পড়ে ওরা জোর নির্বাক
দরিদ্র জনে সহায়তা মানবতায় হতে হবে সকলের সবাক
আমি তুমি সকলে যদি হয় বাংলার পরম মানব স্বেচ্ছাসেবক
ভুলে যাবে মানুষ অতীত দূর্ভোগ হাজির তখন সবুজ লেখক
সবুজ প্রকৃতি মানুষের যোগসূত্র দেখতে হাজির পর্যবেক্ষক
বেশ্ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার
বঞ্চিত মানুষের পক্ষে সাধুবাদ আন্তরিক শুভেচ্ছা হ্যা বারবার
আর ওরা নিপাত যাক যারা মানবতা নয় দরিদ্রকে করে ছারখার।
আজ যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উচ্চবৃত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা শীতে আয়েশী জীবন যাপন করলেও ছিন্নমল মানুষের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। এসব ছিন্নমূল মানুষের কথা চিন্তা করে যশোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার রোববার ১৭ ডিসেম্বর মধ্য রাতে যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকা, বাসস্ট্যান্ডে, ফুটপাতে, রেলস্টেশনে থাকা দুই শতাধিক ছিন্নমূল, নারী শিশু,বয়স্ক ও কর্মজীবী মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে তাদেরকে উষ্ণ করেন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় শীতার্ত মানুষের জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ফান্ড থেকে দেওয়া এসব কম্বল বিতরণ করেন তিনি।
যশোর রেলস্টেশনে থাকো ছিন্নমূল মানুষের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, রাতে শীতের কারণে যখন ঘুম আসছিল না, তখন স্যার আমাদের কাছে কম্বল নিয়ে হাজির হন। রাতের আঁধারে আমাদের খোঁজ-খবর নিয়ে কম্বল দেয়ায় ডিসি স্যারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আল্লাহ সুস্থতা দান করুক ও স্যারকে হেফাজত করুক।
যশোরের ডিসি তীব্র শীতে দুই শতাধিক ছিন্নমূল মানুষের গায়ে কম্বল দিলেন
যশোর রেলগেট এলাকার নুরজাহান কম্বল পেয়ে খুবই খুশি। তিনি দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করেন। রাতে রেল গেট এলাকার একটি ফুটপাতে ঘুমায়। গায়ে কোনরকমে একটা পুরোনো কাপড় জড়ানো ছিলো। তীব্র শীতে তিনি ঠকঠক করে কাঁপছিলো। জেলা প্রশাসক যখন এসে একটি কম্বল গায়ে জড়িয়ে দিল তখন তিনি আবেগ-আপ্লুত হয়ে কাঁদতে লাগলেন।
কম্বল বিতরণ কালে জেলা প্রশাসকের সাথে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তুষার কুমার পাল (রাজস্ব) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস. এম. শাহীন (সার্বিক), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার, জেলা প্রশাসন, যশোরের কর্মকর্তা -কর্মচারীবৃন্দ।
Leave a Reply