বিজয়ী হলে চুয়াডাঙ্গায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে -দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে চুয়াডাঙ্গায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত চুয়াডাঙ্গা বিনির্মানে ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়ে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে এবং জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের লক্ষমাত্রা অর্জনের অঙ্গীকার পূরণই আমার একমাত্র চাওয়া পাওয়া।
মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে অঙ্গীকার করে এসময় জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- ঈগল প্রতীক বিজয়ী হলে আগামী ৫ বছরে বিগত ৫০ বছরের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করা হবে এই চুয়াডাঙ্গায়।
প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার শুরুতে ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা বাজারে নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনপূর্ব পরিচিতি সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা (ঈগল প্রতীক) এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১০টা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা-১ আলমডাঙ্গা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা (তিতুদহ, বেগমপুর ও গড়াইটুপি ইউনিয়ন ব্যতীত) আসনে সোলায়মান হক জোয়ারদার ছেলুন নৌকা, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ঈগল এবং রাজ্জাক খান রাজ ফ্রিজ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতীক পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন – ঈগল যেমন ক্ষিপ্র গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে, আমি নির্বাচিত হলে চুয়াডাঙ্গায় তার চেয়ে বেশি গতিতে উন্নয়ন হবে।
এছাড়াও চুয়াডাঙ্গায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।
মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত এলাকা হিসেবে একটি স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা বিনির্মানে ইগল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন – বিগত দিনে অনেকেই এলাকার জন প্রতিনিধি হয়েছেন। কিন্তু কাঙ্খিত উন্নয়ন কেউ দেখাতে পারেননি। মাদক নির্মূল, সন্ত্রাস দমন, অন্যায় অনিয়ম দূর করার কোনো পদক্ষেপ কেউই গ্রহণ করেননি।
জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- আগামী নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে একটি স্মার্ট, পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক চুয়াডাঙ্গা আমি আপনাদের উপহার দিবো।
এর আগে খাসকররা সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
পরে বলেশ্বরপুরে এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
বেলগাছি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মন্টু, জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, ভাংবাড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কাওসার রহমান বাবলু, খাদিমপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা ও খাদিমপুর ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন, ১২ নং খাসকররা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি এ এইচ এম মোয়াজ্জেম, সেক্রেটারি অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মোঃ রুহুল আমিন, উপদেষ্টা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুসাব আলী, মুক্তিযোদ্ধা সানোয়ার হোসেন ও আব্দুল লতিফ।, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি সেক্রেটারিসহ এলাকার সাধারণ জনগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ আসনে মোট ভোটার ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৮৯ জন পুরুষ, দুই লাখ ৪২ হাজার ৫৯৮ জন নারী এবং ৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
Leave a Reply