এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার প্রচারনার শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের পরিবেশ। এ আসনের নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীর পক্ষে গণসংযোগ চলাকালে তার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ৬ জন আহত এবং তাঁর সমর্থকদের বাড়ি-ঘর ও দোকান-পাটও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেছে নৌকার প্রার্থী।
১৯ ডিসেম্বর’২৩ ইং মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার চরতি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম চলাকালীন ৮ নং ওয়ার্ডের কাটাখালী ব্রীজ এলাকায় সংঘর্ষ ও দোকান ভাংচুরের এ ঘটনা ঘঠে বলে জানা গেছে। আওয়ামীলীগ দলীয় স্বত্ন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব সমর্থক চরতি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাইফুলের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলার এ ঘটনায় ৬ জন নৌকা সমর্থক আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চরতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার চরতী ইউনিয়নের প্রায় সবক’টি ওয়ার্ডে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস শাহীনের একটি প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতারা বৈঠক করেন। তারা ফিরে যাওয়ার পর পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল সশস্ত্র অবস্থায় কয়েকজন লোক নিয়ে এসে ইলিয়াস শাহীনের ওপর প্রথমে হামলা চালায়। এ সময় তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসলে স্থানীয় আরো ৫-৬ জন লোক আহত হয়। হামলাকারীরা ইলিয়াস শাহীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা করে আসবাবপত্র ভেঙে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
আহতদের একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াস শাহীন বলেন, ‘নৌকা প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করতে আসা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা আমার প্রতিষ্ঠানে বৈঠক করে চলে যাওয়ার পরপর করেন মেম্বার সাইফুল অস্ত্র হাতে ৫০-৬০ জন লোকজন নিয়ে আমার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে, এসময় তারা আমার প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হামলার ঘটনায় মাওলানা ইলিয়াছ শাহীন থানায় মামলা করবেন বলে জানান।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব সমর্থক অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের পুর্বঘোষিত কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার জন্য কাটাখালী ব্রীজ এলাকায় এসে আমাদের প্রার্থী এম এ মোতালেবের পক্ষে প্রচারনায় ব্যস্ত ছিলাম। এসময় চরতি ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের প্রচারনা বন্ধের হুমকি দিলে প্রথমে কথা কাটাকাটি হাতাহাতিতে কয়েকজন হাল্কা আঘাত পেলেও এখানে ঘর বা দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের কোন ঘটনা ঘঠেনি। ইলিয়াছ শাহীন নিজে তার কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার ভেঙ্গে তার উপর দোষ চাপানোর নোংরা চেস্টা করছেন বলেও জানান সাইফুল।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রিটন সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রচারনার সময় দুই পক্ষের কর্মি সমর্থকাদের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘঠেছে। মারধর ও দোকান ভাংচুরের ঘটনা সত্য নয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষের অভিযোগ পাওয়া যায়নি জানিয়ে ওসি বলেন, সুনিদ্দৃষ্ঠ অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথোপযুক্ত আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply