নিজস্ব প্রতিবেদক :
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা ও হামলার দায়ে কুতুবপুর ইউ পি চেয়ারম্যান এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক লস্কর সোহেল রানা এ আদেশ দেন।
এর আগে, শনিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে সদর থানায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমারকে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক ও তার ৪ সহযোগীসহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। প্রচারণা শেষে ঘটনাস্থলের পাশে স্থাপিত ঈগল প্রতীকের অস্থায়ী নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করতে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন শত শত নেতাকর্মী।
নির্বাচনী অফিসে পৌঁছানোর আগেই তার গাড়িবহরের গতিরোধ করে মি. আগরওয়ালাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে নৌকার সমর্থকরা। নৌকার কর্মীরা তাঁর গাড়িবহরের রাস্তা আটকিয়ে নৌকার স্লোগানসহ মি. আগরওয়ালাকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন উস্কানি মূলক কথা বলে। পরে প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে অফিসের দিকে যাওয়ার পথে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। এসময় তাঁর সাথে থাকা মহিলাদের উপর নৌকার কর্হা্মীরা মলা চালায় এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে। এতে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আফরোজা পারভীন সহ আরো ৩ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি রিক্সা ভ্যান ভাংচুর ও চালকদেরও মারধর করে দূর্বৃত্তরা।
Leave a Reply