1. news@esomoy.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. admin@esomoy.com : admin :
পাহাড় কাটা রোধে নগরীর ২৬ টি পাহাড়ে সাইন বোর্ড টাঙ্গালেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন - OnlineTV
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

পাহাড় কাটা রোধে নগরীর ২৬ টি পাহাড়ে সাইন বোর্ড টাঙ্গালেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন

Reporter Name
ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

 

এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ

অবৈধভাবে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড় কাটা ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সতর্কতামুলক চট্টগ্রাম নগরীর ২৬ টি পাহাড়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের ৭৬১৬/২১ রিট পিটিশন আদেশ মোতাবেক ৮ আগস্ট’২৩ ইং তারিখের পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৭ তম সভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক নগরীর পাহাড়সমুহে সাইনবোর্ড স্থাপনের এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে।
২৫ শে ডিসেম্বর’২৩ ইং সোমবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহানগরের বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন এলাকাসহ ২৬ টি পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে দৃশ্যমান সতর্কীকরণ সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এই ২৬ টি পাহাড়ের মধ্যে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা/বিভাগের মালিকানাধীন পাহাড় হচ্ছে ১৬ টি এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় বা টিলা প্রায় ১০ টি। সাইনবোর্ড টাঙ্গানো ২৬ টি পাহাড় বা টিলায় প্রায় ৬,৫৫৮ টি অবৈধ বসবাসকারী পরিবার ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন পাহাড়ে স্থাপিত সাইনবোর্ডে সর্বসাধারনের জন্য মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুসারে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি প্রদান করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এসব পাহাড়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: আবদুল মালেক, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মাজহারুল ইসলাম , হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম মশিউজ্জামান, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: উমর ফারুক, হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আবু রায়হান চট্টগ্রাম মহানগরের সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসান, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ খায়রুল ইসলাম চৌধূরী, চান্দগাও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ. এফ. এম শামীম, স্টাফ অফিসার ও সহকারী কমিশনার প্লাবন কুমার বিশ্বাষ সহ জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সার্কেলের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পাহাড় ধসের বিষয়ে মাইকিং , লিফলেট বিতরণ ও সংবাদ ও টিভি চ্যানেল এর মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে পাহাড় কাটার দায়ে প্রায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে এবং মনিটরিং ও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় পাহাড় কাটা প্রতিরোধ করতে। তারপরও এক শ্রেনীর ভূমি দস্যু সুকৌশলে গোপনে পাহাড় কেটে মাটি বানিজ্য চালানোর পাঁয়তারা করে থাকে। পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষার জন্য অতীব গুরুত্বপুর্ন পাহাড় কাটা রোধে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সর্বসাধারনের সচেতনতাও জরুরী বলে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক। তিনি আরো বলেন, পাহাড় খেকোরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাহাড়কাটা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে এসব বিজ্ঞপ্তি দেখে অন্তত জনসাধারণ পাহাড় কাটার বিষয়ে সচেতন হবে। পাহাড়ে অবৈধ দখল ও কাটতে দেখলে তাঁরা সরাসরি থানায়, পরিবেশ অদিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন।পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও সংশিষ্ট সরকারি সংস্থা নিজ উদ্যোগে পাহাড়ে অবৈধ ভাবে বসবাস কারীদের যাতে সরিয়ে ফেলে সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সাইনবোর্ড লাগানো পাহাড়গুলো হচ্ছে, লিংকরোড ও জঙল সলিমপুর সংলগ্ন পাহাড়সহ পলিটেকনিকেল হট স্টেশন সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশ, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ফৌজি ফ্লাওয়ার মিল্ক সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশ, ষোলশহর স্টেশন সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশ, ফয়েজলেক এলাকায় ১, ২, ৩ নং ঝিল সংলগ্ন পাহাড়, মতিঝর্ণা ও বাটালিহীল সংলগ্ন পাহাড়, লেকসিটি আবাসিক এলাকার সংলগ্ন বিজয়নগর, বাটালি হিল ও মতিঝর্ণা অংশ, ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেট সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশ, কৈবল্যধাম হাউজিং স্টেট সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশ, আমিন জুট মিলস কলোনি সংলগ্ন ট্যাংকির পাহাড়। উত্তর পাহাড়তলী মৌজার ১৫০ দাগের খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড় (জয়ন্তিকা পাহাড় সংলগ্ন), বি এস ২১২ ও ২১৩ দাগের পাহাড় ( মুরগির ফার্ম হয়ে গার্ডেন ভিউ সংলগ্ন), আকবর শাহ বেলতলী পাহাড়, পলিটেকনিক কলেজ সংলগ্ন পাহাড়, লালখান বাজার জামিয়াতুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন পাহাড়, হারুন খান সাহেবের পাহাড়, নাসিয়াঘোনা এলাকা, চিড়িয়াখানার পিছনের পাহাড়, মধুশাহ পাহাড়, জালালাবাদ সংলগ্ন পাহাড়। নাগিন পাহাড়। ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট সংলগ্ন মীর মোহাম্মদ হাসানের পাহাড়। এম আর সিদ্দিকীর পাহাড়। মিয়ার পাহাড়। বেড়া ফকিরের পাহাড়(রৌফাবাদ ও অক্সিজেন)।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2019
Design By Raytahost