যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের যশ খেজুরের রস ও গুড় থেকে পিঠা পুলি তৈরি হয় তার সাথে জড়িয়ে থাকে গাছিদের যত্ন, মমতা ও ভালোবাসা।
যা তারা সবার মুখে তুলে দিয়ে আসছেন শত শত বছর ধরে।
সেই গাছিকে এবার সম্মানিত করা হলো খোদ জেলার প্রানকেন্দ্রে।
সাথে ছিল নাচ ও গানের আসর।
আর ছিল পিঠা খাওয়ার মজার আয়োজন।
ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী যশোর জেলা সংসদ। ‘নতুন ধান, নতুন প্রাণ, চলো শুনি পিঠার গান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সংগঠনের নিজম্ব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসবের।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানানো হয় গাছি কাওছার আলীকে।
এই উৎসবে সভাপতিত্ব করেন জেলা উদীচী সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য।
প্রধান অতিথি ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মোল্লা।
উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট আমিরুল ইসলাম রন্টু, উদীচী উপদেষ্টা ইলাহদাদ খান, সাইফুজ্জামান মজু, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, আব্দুল আফফান ভিক্টর, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক রায়, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, উলাসী সৃজনী সংঘের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আজিজুল হক মনি।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উদীচী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, সহ-সম্পাদক ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানের আহবায়ক আলমগীর কবীর।
উত্তরীয় পরিয়ে গাছি কাওছার আলীকে বরণ করেন প্রধান অতিথি ডাক্তার ইয়াকুব আলী মোল্লা।
ক্রেস্ট তুলে দেন উদীচী সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য।
কাওছার আলী তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এসময় তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, নতুন প্রজন্ম ফাস্ট ফুড চেনে, বাংলার ঐতিহ্য পিঠা চেনে না।
এমন আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে পিঠার সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। তারা আরও বলেন, যে গাছিরা প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে খেজুরের রস ও গুড় পৌঁছে দিচ্ছেন মানুষের কাছে তারা অবহেলিত।
তাই তাদের যেনো ভুলে না যাই।
বক্তারা বাংলার ঐতিহ্য পিঠাকে ধরে রাখার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে ভাপা, পাকান, ভাজা পিঠা, ভাজা কুলি, ভাপা কুলি, পুলি পিঠা, কামরাঙ্গা পিঠা, পাটি সাপটা, ঝাল পাকোড়া, চিতইসহ মোট ১২ রকম পিঠা প্রর্দশন করা হয়।
শনিবার ৩ ফেব্রুয়ারি পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উদীচীর অনুষ্ঠান বিভাগের সম্পাদক কাজী শাহেদ নওয়াজ।
Leave a Reply