নিজস্ব প্রতিবেদক:
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের ইতালী প্রবাসী দেলোয়ার সরদার এর বাড়িতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক হন ৩ সাংবাদিক।
তারা হলেন, মো: এমদাদুল হক শেখ ওরফে ইমদাদ শেখ (৪৫), পিতা- মৃত মোতালেব শেখ, গ্রাম- ঝিকরহাটি; সোহেল তালুকদার (৩৫), পিতা- মোঃ শাহ আলম তালুকদার, গ্রাম- বাগেরপাড় এবং নাছিরউদ্দিন ওরফে নাহিদ তালুকদার (৪২), পিতা- মৃত শাজাহান তালুকদার, গ্রাম- চর খাগদী, থানা ও জেলা- মাদারীপুর।
এ ব্যাপারে দেলোয়ার সরদারের বোন শিরিয়া বেগম (৬০) বাদি হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৭।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১ টার সময় বিনা অনুমতিতে ইতালি প্রবাসী দেলোয়ার সরদারের বাড়িতে প্রবেশ করে ঐ ৩ সাংবাদিক।
এরপর দেলোয়ার হোসেন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দিয়ে ভিডিও ধারণ করতে থাকে।
একদিকে ভিডিও করে অন্যদিকে দেলোয়ার হোসেনকে বলে, তুই মানবপাচারকারী আমাদের কাছে যথেষ্ঠ অভিযোগ আছে। এ অভিযোগ থেকে পরিত্রান পেতে হলে আমাদের ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে, নয়তো ধরে নিয়ে মানবপাচারের মামলা দিবো।
তখন প্রবাসী দেলোয়ার ভয়ে ৩ নং আসামী নাসির তালুকদারের নিকট নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দিয়ে আসামীদের ভিডিওধারন করতে নিষেধ করেন।
এরপর তাদের দাবিকৃত ৩০ লক্ষ টাকার বাকি ২৮ লক্ষ টাকা দাবি করিয়া নানাভাবে প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনকে গালিগালাজ ও গ্রেফতারের হুমকি দিলে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে দেলোয়ার হোসেন ঘর হতে বের হয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু ডিবি পরিচয়দানকারী ৩ সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনকে ঝাপটে ধরলে তিনি চিৎকার দেন। এতে আশে পাশের লোক এসে ১ ও ২ নং আসামীকে আটক করে।
অন্যদিকে ৩ নং আসামী নাসির তালুকদার ২ লক্ষ টাকা নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এরপর আটকদের উত্তম মাধ্যম দেয় উৎসুক জনতা।
তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে পলাতক আসামী নাসির তালুকদারের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে।
এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে থানা হেফাজতে নেয়।
এদের নামে গেল বছরের ২৫ মার্চ বরিশালের গৌরনদী থানায় চাধাবাজির দায়ে মামলা হয়।
এরপরে সেই মামলায় তারা ৫ দিন জেলও খাটে।
আরো জানা গেছে, মাদারীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বিলাস ও দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি পোটকা মামুন ঐ ৩ সাংবাদিককে ছাড়িয়ে আনতে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে বলে গোপন সূত্র জানায়।
বিলাস পেশাদার একজন সাংবাদিক হয়েও চাঁদাবাজদের ছাড়িয়ে আনতে যাওয়া ভাল চোখে দেখছে না মাদারীপুর জেলার পেশাদার সাংবাদিক মহল।
এদের বিরুদ্ধে তারা নিবর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রকাশ থাকে যে, বিলাসের মত সাংবাদিকের ছত্র ছায়ায় মাদারীপুরের ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে সাংবাদিক ও নতুন নতুন সংগঠন।
Leave a Reply