জাজিরার বড় গোপালপুর ইউনিয়নে যুবলীগ নেতার হামলার শিকার চার পুলিশ সদস্য।
ক্রীড়া প্রতিনিধিঃ
বুধবার (২৮-ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের সূর্যমণি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় পুলিশের হাত থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ দুই মাদক কারবারিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় ওই যুবলীগ নেতা।
ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে জাজিরা থানার এএসআই বেলাল ও তার সঙ্গে থাকা তিন পুলিশ সদস্য জোহান, সবুজ ও ফারুক মিলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে।
সূর্যমণি বাজারের বালুর মাঠের পিছনের নদীর পাড় থেকে আনুমানিক ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ স্থানীয় আরিফ (২৮) ও যুবলীগ নেতা সাগর মাদবরের বড়ভাই সবুজ মাদবর (৩২)কে আটক করে।
খবর পেয়ে সাগর সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় মাদক কারবারি ও জুয়াড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডাকাত ডাকাত বলে পুলিশকে মারধর করে।
এসময় পুলিশকে অবরুদ্ধ করে গাঁজা সহ আটক করা আরিফ ও সবুজকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় সাগর।
পরে অবরুদ্ধ করা পুলিশ সদস্যদের কিল-ঘুষি মারতে থাকে সবুজ সাগর সহ তাদের সঙ্গে থাকা সাঙ্গপাঙ্গরা।
ঘটনা বুঝতে পেরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়।
ঘটনা জানতে পেরে জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ সুজন হকের নেতৃত্বে ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসে।
এসময় পালিয়ে যায় কথিত ওই যুবলীগ নেতা সহ তার সঙ্গে থাকা লোকজন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, অত্র ইউনিয়নের মধ্যে ফোরকান মাদবর অন্যতম প্রভাবশালী লোক। সাগর ও সবুজ ফোরকান মাদবের ছোটভাই কুদ্দুস মাদবরের ছেলে।
ফোরকানের ভাতিজা হওয়ায় স্থানীয় কেউই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না।
গত দু’দিন আগে জাজিরা থানার এএসআই বেলাল গাঁজা আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সাগরের ভাই সবুজ’কে তাড়া করেন।
ঐ সময় কৌশলে নদী পাড় হয়ে পালিয়ে যায় সবুজ। ঘটনার পর থেকেই এএসআই বেলালের উপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন সবুজ সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
সবশেষ গতকাল সন্ধ্যায় বেলালকে পেয়েই তার উপর চড়াও হয় সবুজ সাগর সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। তবে স্থানীয় কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলালকে চিনে ফেলায় তাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, সাগর মাদবর কিছু মানুষকে জিম্মি করে পুলিশের উপর হামলা করিয়েছেন। তার ভাই সবুজের নামে ডাকাতি সহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে মাদকাসক্ত এবং ছয়মাস রিহ্যাবে ছিলেন।
রিহ্যাব থেকে ফিরে পুনরায় আবার মাদক সেবন ও মাদক ব্যাবসা শুরু করে সবুজ। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে পুলিশ সদস্য বেলালকে নিয়ে।
পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত যুবলীগ নেতা সাগরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে ফোরকান মাদবরকে কল করলে তিনিও কল রিসিভ করেননি।
পুলিশের উপর হামলা করে মাদক কারবারি ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুর রহমান আমি ঘটনা শুনেছি।
ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মো./মি এসময়।
Leave a Reply