পলি রানী দেবনাথ, সদর প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: “সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে ১৭ তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে মৌলভীবাজারে।
মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এবং প্রতিবন্ধী সাহায্য সেবা কেন্দ্রের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আব্দুস সালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম।
এ সময় তিনি বলেন, অটিজম সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। যেসব সমস্যার কারণে শিশুর অটিজমসহ অন্যান্য রোগের সৃষ্টি হতে পারে, সেইসব কারণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সেইসাথে পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের সর্বস্তরে অটিজম আক্রান্ত শিশুদের প্রতি সমবেদনা ও ভালোবাসা সৃষ্টি করতে হবে। তাদের সুস্থ করে তোলার মাধ্যমে দেশের সম্পদে পরিনত করতে হবে। যাতে তারাও সুস্থ হয়ে তাদের উপযোগী বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারে। তাহলেই একজন অটিস্টিক শিশু বা ব্যক্তি এই সুন্দর পৃথিবীতে তার বেঁচে থাকার উপলক্ষ্য পাবে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুমন দেবনাথের স ালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস মৌলভীবাজার এর সহকারি পরিচালক মো: মোশাররফ হোসেন, মেডিক্যাল অফিসার ডা: মো: রবিউস সানি, ব্লুমিং রোজেস বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের পরিচালক ডি ডি রায় বাবলু, আব্দুর রউফ প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: হাবিবুর রহমান।
উল্লেখ্য, অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালের ২ এপ্রিল ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহনের পর থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
একসময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এটি নিয়ে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। সায়মা ওয়াজেদ ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। তিনি এই অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন।
এম.চৌ:/এসময়
Leave a Reply