পাবনা জেলা প্রতিনিধি: মোঃ সাইদুর রহমান অনিক
সময়: ৪ এপ্রিল ২০২৪
গরমের শুরুতেই ঈশ্বরদীতে যখন রেকর্ড তাপমাএা তখন উপজেলার সর্বত্রই ঘন্টায় ঘন্টায় চলছে লোডশেডিং। বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। ২৪ ঘন্টার মধ্যে লম্বা সময় বিদ্যুৎ থাকছে না ঈশ্বরদীতে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের জন্য অভিযোগ নাম্বারে ফোন করা হলেও তথ্য প্রদানে চলছে লুকোচুরি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক ঘন্টা যদি বিদ্যুত থাকে আর আরেক ঘন্টা বিদ্যুত থাকছে না। প্রতিদিন যেন রুটিন ওয়ার্ক হয়ে দাড়িয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকছে। সারাদিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ বন্ধ হচ্ছে। সেচপাম্প মালিকেরা জানান, ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে কৃষি জমিতে সেচ দিতে পারছি না। বিদ্যুৎ কতবার আসে আর যায় তার হিসেব নেই।
বিভিন্ন মুসল্লিরা জানান, বিদ্যুত না থাকায় মসজিদে তারাবি সহ সকল নামাজ আদায়ের সময় প্রচন্ড গরমে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
কিছু গ্রাহকদের সাথে কথা বললে সাথী নামের এক গ্রাহক জানান এমন সেবা আমরা চাই না, বিকাশ জানান এটা খুবই দুঃখজনক, মিঠু বলেন যেহুতু বিদ্যুত ঘাটতি তাই মেনে নিতে হবে, এমন আরো অনেকেই এমন অভিযোগ করেন।
এভাবে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার কারণে কম্পিউটার, ফ্রিজ, টিভিসহ বিদ্যুতায়িত মেশিন ও যন্ত্রপাতি দিয়ে সুষ্ঠুভাবে কোনো কাজ করা যায় না। লোডশেডিংয়ের কারণে নিত্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ঈদ সামনে রেখে বিদ্যুৎ বারবার আসা-যাওয়া করায় শিল্পোদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বিপণিবিতান ও হাটবাজারের দোকানগুলোতেও বেচাকেনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জেনারেটর কিংবা আইপিএসের মাধ্যমে বিকল্প ব্যবস্থায় তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। তাই দ্রুত এই সমস্যা নিরসনের দাবি জানান সাধারণ জনগন।
মুঠোফোনে বিদ্যুত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কল রিসিভ করেননি। গতো দুই দিন আগে তাদের থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন কেনো এমন হচ্ছে জানেন না বলে ফোন কেটে দেয়। তারা এর আগে বলছেন বিদ্যুতের ঘাটতি থাকার কারণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। এর সমাধান কি হবে এমন প্রশ্ন জনমনে।
Leave a Reply