1. news@esomoy.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. admin@esomoy.com : admin :
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বেতন ভাতা না দিয়ে গভীর রাতে ফোন করে অসামাজিক কথা বলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা - OnlineTV
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বেতন ভাতা না দিয়ে গভীর রাতে ফোন করে অসামাজিক কথা বলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বেতন ভাতা না দিয়ে গভীর রাতে ফোন করে অসামাজিক কথা বলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের জেন্ডার প্রমোটার, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বেতন ভাতা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিয়ে বুধবার (৩ এপ্রিল) ভুক্তভোগীরা শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ও লিখিত ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ৭ মাস আগে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকে আফজাল হোসেন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন।

যার কারণে কিশোর কিশোরী ক্লাবের জেন্ডার প্রমোটার ও শিক্ষকরা বেতন ভাতা না পাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন।

যোগদানের পর থেকে শিক্ষকদের বেতন সম্পূর্ণ না দিয়ে আংশিক প্রদান করা, সিএমসি মিটিং না করে সর্ম্পর্ণ টাকা আত্মসাৎ করা, ছাত্র-ছাত্রীদের নাস্তার টাকা আংশিক প্রদান করা, নিজস্ব লোকজনকে নিয়োগ প্রদান করা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ঘুষের মাধ্যমে করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া, বেতন ভাতা দেওয়ার সময় রেভিনিউ স্টাম্প ব্যবহার না করা, গভীর রাতে শিক্ষিকাদের মোবাইল করে অসাজিক কথা বার্তা বলাসহ অকারণে বকাবকি করেন এই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা।

এসব অনিয়ম থেকে মুক্তি পেতে ভুক্তভোগী ১৪ জন জেন্ডার প্রমোটার ও শিক্ষক-শিক্ষিকা লিখিত আকারে অভিযোগ দিয়েছেন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর।

ভুক্তভোগী জেন্ডার প্রমোটার তানজিলা আফরিন বলেন, কোনটা রেখে কোনটার কথা বলব। এখানে নানা রকম সমস্যা। সিএমসি মিটিংয়ের টাকা দেওয়া হয়নি।

৪ টির ইউনিয়নের দারোয়ানদের সম্মানি দেওয়া হয়নি। শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন আংশিক দেওয়া হয়।

শিক্ষিকাদের অনৈতিক কথা বার্তা বলেন তিনি। বিষয়গুলো নিয়ে ইউএনও স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা করছি সুন্দর একটি সমাধান পাব।

সোলায়মান নামে আরেকজন জেন্ডার প্রমোটার বলেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফজাল হোসেন আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

শিক্ষার্থীদের নাস্তার টাকা ঠিকমত দেয় না। শিক্ষকদের বেতনের টাকা কেটে রেখে দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

গোসাইরহাট উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, বরাদ্দ পাইনি বলে তাদের ভাতা দিতে পারিনি। বরাদ্ধ এসেছে, আগামি সোমবার তাদের সম্মানি দিয়ে দেওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ বলেন, এটা একটি দাপ্তরিক বিষয়। এবিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।

মো.মি/ এসময়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2019
Design By Raytahost