আমরা প্রিয়জনকে বুকে জরিয়ে ধরবো বলে তাদের বুকটা খালি পরে রয়, তবুও মুখে তাদের অনাবিল হাসি শুধু আমরা ঘরে ফিরবো বলে।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সামনেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর।
মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করাই ট্রাফিক পুলিশের ব্রত।
রমজানের শুরুতেই ট্রাফিক পুলিশের ছিল বাড়তি ডিউটি।
১৫ রমজানের পর অধিকাংশ ট্রাফিক পুলিশকে করতে হয়েছি দ্বিগুণ ডিউটি। নারীর টানে বেশিরভাগ মানুষই গ্রামে। কিন্তুু তাতে কী?
দায়িত্ব তো আর থেমে নেই। আর সেই দায়িত্বের বেড়াজালে বন্দী ট্রাফিক পুলিশের ঈদ।
ঈদ উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে বিশ্বের সব স্থানে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রাস্তার যানজটও।
সন্ধ্যা নামার আগেই অনেকে বাসায় ফিরতে চান। রাস্তায় থাকে মানুষের ভিড়।
একারণে রাস্তায় বাড়ে যানবাহনের চাপ। সেই যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।
ঘরমুখো মানুষ যেন ঈদের আগেই পরিবার পরিজনদের কাছে পৌঁছাতে পারে এজন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
ঈদের সময়ে সাধারণ মানুষ তাদের প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারলেও, প্রিয়জনদের সাথে দেখা পর্যন্ত করতে পারেন না ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
ঈদের সময়ও তাদের ডিউটি করে যেতে হয়।
কাজির হাট বাস স্টান্ডের দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট মেহেদী হাসান জানান, পরিবার ছাড়া ঈদ করতে সবসময় খারাপ লাগে।
খুব ইচ্ছে করে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। কিন্তু সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঈদের দিনও ডিউটি করতে হয়।
যখন আমরা দেখি আমাদের এই কষ্টের জন্য হাজারো মানুষ নিরাপদে তার পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারছে, তখন তা দেখেও মনে আলাদা একটা শান্তি অনুভব করে।
কাজির হাট বাস স্টান্ডের দায়িত্বরত টি.এস.আই মো: হায়দার হোসেন বলেন, সাধারন মানুষের উৎসব নির্বিঘ্ন করতে পারাই ট্রাফিক পুলিশদের আনন্দ।
ট্রাফিক পুলিশের এই ত্যাগের ফলস্রুতিতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছে এটাই আমাদের পাওয়া।
এর আগে রমজানের সারা মাস ইফতারির ফাঁকেই যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে তাদের।
ইফতারের সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে ইফতারি করেন তারা, বসারও জায়গা থাকে না অনেক সময়।
কখনো বসার জায়গা থাকলেও বসার সময়ও পান না তারা। ইফতারের সময় সবাই বাসায় ইফতার করার জন্য গাড়ি নিয়ে ছুটে।
কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকে যাতে সবাই স্বস্তিতে বাসায় গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার করতে পারে।
তাদের এই দায়িত্ব পালন শুধু দেশের প্রতি ও দেশের জনগণের প্রতি।
আমরা সবাই শুধু ট্রাফিক পুলিশের দোষ-ত্রুটি দেখি।
কিন্তু তারা যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সকলের সেবায় নিয়োজিত থাকে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে মানবিক দৃষ্টিতে দেখা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ।
মো.মি/এসময়।
Leave a Reply