নড়াইলে ১৫ দিনব্যাপি সুলতান মেলার উদ্বোধন
নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইলে ১৫ দিনব্যাপি সুলতান মেলার উদ্বোধন হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে নড়াইলের সুলতান মঞ্চে বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস.এম সুলতানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ মেলা শুরু হলো। মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। এ সময় বক্তব্য দেন, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোঃ মেহেদী হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের সভাপতি মলয় কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটু প্রমুখ। এ সময় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এবারের মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে চিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহনে চিত্র প্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, গ্রামীন খেলাধুলা লাঠিখেলা, কাবাডি, কুস্তি, ভলিবল, ঘোড়ার গাড়ি দৌড় প্রতিযোগিতা, আর্চারি, ষাড়ের লড়াই, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিল্পীর কর্মময় জীবনের ওপর সেমিনার। এবার স্থানীয় ৫০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও নাটক, যাত্রাপালা, কবিগান ও জারিগানের পাশাপাশি কুষ্টিয়ার লালন একাডেমী এবং বিখ্যাত ব্যান্ড জলের গান সংগীত পরিবেশন করবেন। মেলাকে কেন্দ্র করে লোক ঐতিহ্য শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের দোলনা, খেলনা ট্রেন-নৌকা, কারু শিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, কাপড়, চুড়ি-ফিতা, বিভিন্ন প্রকার পিঠা-পুলিসহ দেশীয় খাবারের পসরা সাজিয়ে শতাধিক স্টল মেলা প্রঙ্গণে বসেছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইন্সস্টিটিউটের যৌথ সিদ্ধান্তে একজন গুণি চিত্রশিল্পীকে সুলতান স্বর্ণ পদক প্রদান করা হবে। তবে এটি এখনও নির্ধারিত হয়নি।
বরেণ্য এই শিল্পী ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন শিল্পী সুলতান।
চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ সম্মাননাসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।
এম.এস/এসময়
Leave a Reply