পটিয়া চট্টগ্রামের প্রতিনিধি:চট্টগ্রামের পটিয়ার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সুএে জানা যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার খরনার চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় মারসা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) রাত ১০টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর তাদের উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর (১৮) ও রামুর নুরুল আলম (২৭)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।
এই ঘটনায় আহতরা হলেন- রাকিব হোসেন, মো. জাবেদ ও মো. শিহাব। এছাড়া একজনের নাম জানা যায়নি।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান সড়কের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসা বাদামতল এলাকায় একটি বাস (চট্টমেট্রো চ – ১১-০৩৯৯২) খাদে পড়ে হেলপার নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম- মোহাম্মদ রফিক (২৩)। সে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের সাততৈয়া গ্রামের আবদুল মান্নানের পুত্র। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
পটিয়া ক্রসিং-হাইওয়ে পুলিশের ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাসের হেলপার রফিক গাড়িটি সাইড করার সময় এক পর্যায়ে খাদে পড়ে যায়। এসময় গাড়ির হেলপার গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। স্থানীয় লোকজন গাড়ির হেলপারকে গাড়ির নিচ থেকে উদ্ধার করে।
এছাড়াও পটিয়া জিরি গ্রামের ছেলে শুক্রবার চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পিকআপের ধাক্কায় তানভির জামান (২৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তিনি পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মীর বাড়ির বদিউজ্জামানের পুত্র। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম খান টিপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে তারা কয়েকজন বন্ধু মোটরসাইকেল যোগে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়ন এলাকায় পৌঁছলে একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তানভিরকে পেছনে ধাক্কা দেয়।
এতে সে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরতর আহত হয়। সহযাত্রীরা তাকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত ১টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত তানভির স্থানীয় একটি ফিলিং স্টেশনের হিসাব বিভাগে চাকরি করতেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তানভির জামান সবার বড়।
দোহাজারী হাইওয়ে থানান অফিসার ইনচার্জ খান মুহাম্মদ এরফান জানান, পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হওয়ার বিষয়টি তাদেরকে কেউ অবগত করেনি।
এম.এস/এসময়
Leave a Reply