1. news@esomoy.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. admin@esomoy.com : admin :
নড়াইলে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা - OnlineTV
বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন

নড়াইলে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

মৌসুমী নিলু
ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ

নড়াইলের লোহাগড়ায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী নেতা সিকদার মোস্তফা কামাল( ৫৫) নিহত হয়েছেন।

পরে আরেক দফায় গোলাগুলির ঘটনায় প্রতিপক্ষের আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৭টার দিকে কুন্দশী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিকদার মোস্তফা কামাল উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন মঙ্গলহাটা গ্রামের আকরাম সিকদারের ছেলে।

তিনি ইউনিয়নটির দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লোহাগড়া বাজার থেকে মঙ্গলহাটা নিজ গ্রামে ফেরার পথে কুন্দশী মোড় এলাকায় প্রতিপক্ষ আকরাম হোসেন লিপন মেম্বারের লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সিকদার মোস্তফা কামালের উপর গুলি চালায়।

এতে আহত অবস্থায় লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে রাত পৌনে ১১টায় মারা যান তিনি।

এদিকে প্রতিপক্ষ আকরাম হোসেন লিপন মেম্বার সমর্থিতরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলার ঘটনার পর সাবেক চেয়ারম্যান সমর্থিত লোকজন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মঙ্গলহাটা গ্রামে তাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ফয়সাল শেখ ও পলাশ মোল্লা নামের দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে কলেজে পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয় বলে জানান চিকিৎসক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন থেকে সিকদার মোস্তফা কামাল ও আকরাম হোসেন লিপন দুজনেই নির্বাচন করে পরাজিত হন।

মোস্তফা কামাল ইউনিয়নটিতে দুবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নির্বাচনের সময় থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো।

২০২২ সালে সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামাল সমর্থিত লোকজন সাবেক ইউপি সদস্য আকরাম হোসেন লিপুনের হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।

এ ঘটনার পর দুপক্ষই থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় এক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্রিকেট খেলা শেষ করে তারা বেশ কয়েকজন মাঠেই বসে ছিলেন।

রাত সাড়ে ৭টার দিকে পর পর তিনটি শব্দ হয়।

শব্দ শুনে মনে হয়েছিলো গাড়ির টায়ার বিস্ফোরিত হয়েছে।

পরে চিৎকার শুনে দৌড়ে গেলে মোস্তফা চেয়ারম্যান আহত অবস্থায় বলেন, আমাকে বাঁচাও, গুলি করছে তারা।

পরে ভ্যান দিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র এলো কোথা থেকে তার তদন্ত করে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা ফেরানোর দাবি এলাকাবাসীর।

লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সৈয়দ ফরহাদ বিন হক বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রথমে একজন সাবেক চেয়ারম্যান গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আসেন।

পরে রাত ১০ টার দিকে আরও দুই জনকে আনা হয়।

প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত যে তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের স্থানান্তর করা হয়েছে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, গ্রাম্য আধিপত্যের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে।

সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামালকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথেই মারা গেছেন।

পরে আরও একবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, তাতে দুইজন আহত হয়েছেন।

গোলাগুলির ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।

তাদের ধরতে অভিযান চলছে, এলাকায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2019
Design By Raytahost