মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: “নারী পুরুষে বৈষম্য হ্রাস করি,নারীবান্ধব সমাজ গড়ি” সামগ্রিকভাবে নারীর ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়নের গল্প স্থান কাল পাত্র ভেদে অনেক ভিন্নতা আছে।
ইতিবাচক দৃষ্টিকোন থেকে বলতে হচ্ছে আজও নারীরা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বচ্ছল ও মর্যাদাবান নয়। যদিও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড তাদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। যেমন- বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের ৮০% নারী সদস্য, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে নারীর সংশ্লিষ্টতা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ে নারী শিক্ষকদের আধিক্য, নারী শ্রমিক রফতানি ইত্যাদিকে আমরা নারীর অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি। বর্তমানে নারীকে দেখেছি অনন্য এক উচ্চতায় এবং ক্ষেত্র বিশেষে নারীরা কোথাও কোথাও পুরুষকেও ছাড়িয়ে গেছে। তৈরি হচ্ছে নারীর জন্য নতুন এক সংস্কৃতি। সংস্কৃতির ধারক হিসেবে বিশ্ব উন্নয়নে নারী-পুরুষ সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই নারী উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠী যেখানে নারী, সেখানে নারীকে পেছনে ফেলে বিশ্বের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সমাজে নারীর অগ্রগতি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। নারীর অবদান ছাড়া একটি সংস্কৃতি কখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে না। নারীরা আজও স্বাধীন নয়। তারা এখনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে আসেননি। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সব ক্ষেত্রে নারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা সমাজের প্রচলিত সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে আদিম সমাজের প্রতিষ্ঠিত নারী সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটিয়ে সমাজের সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান পদচারণা প্রয়োজন। নারীকে পুরুষের অধীনস্থ নয়, বরং সমকক্ষ ভাবা এখন প্রতিটি সমাজের দাবি। এক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহমর্মিতা নয়, প্রয়োজন সহযোগিতা। বিশ্ব উন্নয়নে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ধারণ করা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন সংস্কৃতিতে বিদ্যমান অসঙ্গতিগুলো দূর করা। নারীবান্ধব সংস্কৃতি এবং লিঙ্গ বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা বিশ্বের সব সংকীর্ণতা দূর করে নতুন বিশ্ব গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও নারীর উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। জেন্ডার বৈচিত্র্য সুরক্ষাসহ উৎপাদ,পুনরুৎপাদন ও সামাজিকভাবে নারী পুরুষে সমান ভূমিকাই পারে সকল প্রকার বৈষম্য হ্রাস করে নারীবান্ধব বহুত্ববাদী সামাজিক ন্যায্যতার সমাজ বিনির্মান করতে।
হু.ক/এসময়
Leave a Reply