জাজিরায় অসহায় অবহেলিত ৫০ টি পরিবারের স্বপ্ন পূরণে বাঁধার সৃষ্টি।
ক্রীড়া প্রতিনিধিঃ
বড় কান্দি ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের অর্জুন তপাদার মল্লিক কান্দি ৫০টি পরিবারের প্রায় ৪০০ জন লোকের স্বপ্ন ছিল তাদের দুবুন্দি সিমানা দিয়ে রাস্তা তৈরী হবে। তাদের যাতায়াত সমস্যা সমাধান হবে।
এলাকার লোকজনের রাস্তা তৈরীর দাবিতে ২০১৩ সালে সরকার থেকে প্রথমবারের মতো ১ টি প্রজেক্ট পাস হয়।
জমির সংকটের কারণে তখন রাস্তার কাজটি আর হয়ে ওঠে নি।
এর পরে চলতে থাকে অর্জুন তপাদার মল্লিক কান্দি লোকজনের অসহায়ত্ব দিন।
প্রতিনিয়ত তারা হতে থাকে অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। ভালোভাবে পায় না কোনো চিকিৎসার সুযোগ ব্যাবস্থা। পায় না কোনো স্বাধীনতা।
সারাক্ষণ ঘরের মধ্যে জেলের কয়দির মতো বন্দি হয়ে বসবাস করতে হয়।
কারণ, বর্ষাকালে সেখানে হাটু পর্যন্ত পানি হয়।
তাছাড়া, যখন বৃষ্টি হয় তখন কাদার জন্য তারা ঘর থেকে ও ঠিকমতো বের হতে পারে না।
এতে করে এলাকার লোকজন বাজার ঘাটে বাজার করতে যেতে পারে না।
তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যাঘাত ঘটে।
এছাড়া তাদের ছেলে মেয়েরা রাস্তার অভাবে সময় মতো এবং ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারে না।
ছেলেমেয়েরা ৬ মাস স্কুলে যায় এবং ৬ মাস ঘরে বসে থাকে। পরিক্ষা দিতে যেতে পারে না ঠিকমতো রাস্তার জন্য।
এস.এস.সি পরিক্ষার্থীরা বলে রাস্তা নেই বলে আমরা পরিক্ষা দিতে যেতে পারি না। একিই ক্লাসে দুই বছর পড়তে হয় আমাদের।
এভাবে আর কতদিন কতকাল আমরা অবহেলিত হয়ে থাকবো। স্বাধীন দেশে আমাদের স্বাধীনতা কোথায়।
আরও বলেন তাদের এলাকায় কেউ অসুস্থ বা প্রেগন্যান্ট হলে আমরা দ্রুত হাসপাতালে নিতে পারি না। আমাদের এলাকা থেকে হেটে রাস্তায় যেতে লাগে দশ মিনিট। রাস্তায় যাবো কতক্ষণে আর হাসপাতালেই বা নিব কতক্ষণে।
একজনকে কতক্ষণ মাথায় বা কাধে করে নেয়া যায়।
পরে ২০২৪ সালে অর্জুন তপাদার মল্লিক কান্দি এলাকার লোকজন মিলে এলাকার মেম্বার হরুন হাওলাদারসহ জমির মালিক এবং মুরুব্বিআনের কাছে রাস্তা তৈরির জমির জন্য অনুনয় ও দয়া ভিক্ষা চান। যাতে তারা একটু ভালোভাবে যাতায়াত করতে পারে।
মেম্বার রাজি হলে ও জমির মালিকরা জমি দিতে নারাজ ছিলেন।
গতকাল ১৭ জুন সোমবার মেম্বার সহ সকল মুরুব্বিদের সাথে কথা বলে তারা পূনরায় ১২০০ মিটার রাস্তা তৈরির কাজটি চালু করেন।
রাস্তাটি উত্তর দক্ষিণ ১০ ফিট চৌরা হয়ে গরম বাজার ঢালি কান্দি পর্যন্ত শাখা রাস্তা বের হবে।
প্রায় ৪০০ ফিট রাস্তা খনন কাজ সমপন্ন হয়।
পরে ১৮ই জুন মঙ্গলবার রাস্তার কাজ করায় বাঁধা দেয় ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলিমুদ্দিন খালাশির সেজো ছেলে আবু সালাম খালাশী।
রাস্তা চাই দাবি জানালে প্রতিবাদে তিনি বলেন আমার সাড়ে তিন বিঘা জমি রয়েছে।
রাস্তার মধ্যে আমার দেড় বিঘা জমি পরেছে।
আমি আমার জমি দিতে পরবো না রাস্তার কাজে।
তিনি গালিগালাজ করে বলেন, এই জমি কারোর বাপের জমি নয়।
প্রতি উত্তর দিতে চাওয়ায় তিনি সজোরে একজনের গায়ে হাত পর্যন্ত তোলেন। তারপর হুমকি ধামকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান।
তাছাড়া জমির মালিক প্রায় সবাই জমি দিতে রাজি থাকলে ও আবু সালাম খালাশী সবাইকে জমি দিতে মানা করেন।
জমির প্রধান মালিকগণ কামাল মাদবর, সালাম মাদবর, আমিন আকন, নুরুল ইসলাম খালাশি, হারুন মাদবর, সাবেক মেম্বার আব্দুল লতিফ খাঁন, মোঃ দবির হোসেন দড়ি, মোঃ তোতা দড়ি, আব্দুল মজিদ শেখ, আব্দুল জলিল শেখ, আব্দুল খালেক, শেখ রুহুল আমিন মাদবর, আবুল হাসেম মোড়ল ,আব্দুল মালেক শেখ, মনির মোল্লা, ইসমাইল শেখ, আবু তালেব পাঠান, চানমিয়া, মাদবর জসিম খালাশি, লাল সিদ্দি মোল্লা আমির, হোসেন মোল্লা, খালেক ফকির, আলাউদ্দিন দেশপালী, সালাউদ্দিন তালুকদার প্রমুখ।
মো.মি/এসময়।
Leave a Reply