1. news@esomoy.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. admin@esomoy.com : admin :
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন

জাজিরায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত 

কাজী জিহাদ
ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

জাজিরায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের সবচাইতে স্মরনীয় ঘটনা এবং মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

মুক্তিযুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের অপশাসন ও নিবর্তনমূলক আচরনের বিরুদ্ধে।

চলো যাই যুদ্ধে, অসংগতির বিরুদ্ধে এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ জাজিরায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাজিরা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডর-শামসুল হক খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মাষ্টার।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাজিরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মাসুদ সরদার, সহ-সভাপতি- মিয়া নাসির, সাজাহান হাওলাদার, দেলোয়ার মুন্সী আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক খান। তিনি বলেন আমরা ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশ স্বাধীন করেছি।

তখন বাংলাদেশে এবং পাকিস্তানের বৈষম্য ছিল। পাকিস্তানের জনগন চাকরি পেত ৯০% এবং বাংলাদেশের জনগন পেত ১০%।

আমাদের এদেশের সম্পদ চলে যেত পাকিস্তানে। আমরা চাকরি পেতাম কেরানি ও দপ্তরি পদে, কোন উচ্চ পদের চাকরী আমরা পেতাম না এই বৈষম্যের কারনে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পারলেন আমরা একটা বৈষম্যের ভেতরে পরেছি।

তখন তিনি চিন্তা করলেন আমাদের স্বাধীন হওয়া দরকার। পর্যায় ক্রমে স্বাধীনতার জন্য ছয় দফা প্রস্তাব দিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু বহুদিন জেল খেটেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করতে গিয়ে।

১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ভাষন দিয়েছিলেন।  তিনি বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।

আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেমে পড়ি এবং দেশকে স্বাধীন করি।

যেই রাজাকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, সেই রাজাকারেরা আজ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।

আজ আমাদের এই স্বাধীন দেশে দাড়িয়ে।শুনতে হয় ”তুই কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার।
এই কথা শুনে ঘৃনায় লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যায়।

আমরা একাত্তর এর মুক্তিযোদ্ধারা এখনও বেঁচে আছি, আমাদের সন্তানরা বেঁচে আছে, আমরা এর প্রতিকার চাই।
তারা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে কোটার কথা বলে।

তিনি আরো বলেন যারা চাকরি করছে তারা তাদের মেধায় পাশ হয়েছে, তাদের মেধায় তারা চাকরি করছে তাহলে এই কোটা নিয়ে আপনাদের কেন এত কথা।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কী মেধা নেই?
তারা কী মেধাহীন।

তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোন রাজাকারের জায়গা হবেনা।
তারা আমাদের অপমান করেছে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বঙ্গবন্ধু আমাদেন ৩২ টি ইন্ডাস্ট্রি দিয়ে গিয়েছে, সেই আয়ের একটা অংশ থেকে আমরা ভাতা পাই।
আমরা মুক্তিযোদ্ধারা জনগণের টাকা নেই না।

মো.মি/এসময়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2019
Design By Raytahost