সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: সিরাজগন্জের সলঙ্গা থানার ঘুরকা ইউনিয়নের বাসুদেবকোল উত্তর পাড়ায় শশুর কর্তৃক পুত্রবধূকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত শশুর বাসুদেবকোল উত্তর পাড়া মৃত সুজাব আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুস সামাদ (৪৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানাজায়, প্রায় এক বছর আগে বাসুদেবকোল উত্তর পাড়া মোঃ আব্দুস সামাদ(৪৮) এর ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলামে (২৪) এর সাথে বিয়ে হয় ঐ ভুক্তভোগী গৃহবধূর। বিয়ের পর থেকে আশরাফুল ইসলাম হিজলা টাইপের হলেও মেনে নিয়ে সংসার চালিয়ে যান ঐ গৃহবধূ।
বিবাহের পর থেকেই আব্দুস সামাদ ঐ গৃহবধূর দিকে কূনজর দিয়ে আসছিল।
বাড়িতে একা থাকলে মোবাইলে পর্ণ ভিডিও দেখানোর চেষ্টা করত। অনেক সময় জোরপূর্বক গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করত আব্দুস সামাদ।
এ নিয়ে একাধিক দেনদরবারও হয়েছে বাসুদেকোল এলাকায়। গত ১৪ জুলাই গৃহবধূর শাশুড়ী মেয়ে জামাতার বাড়ি ও স্বামী আশরাফুল হোটেলে ডিউটিতে গেলে গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে শশুর আব্দুস সামাদ। তার চিৎকার চেচামেচিতে প্রতিবেশীরা এসে ঐ গৃহবধূকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সলঙ্গা ও বাসুদেবকোল এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পরে ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূ সলঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূ জানান, বিয়ের পর থেকেই শশুর আব্দুস সামাদ আমার দিকে কূ নজর দিয়ে আসছিল। আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার স্বামী পাগল জেনেও সংসার করে আসছিলাম। এর আগেও আমার শশুর আমাকে বিভিন্ন সময় কূপ্রস্তাব ও জোরপূর্বক গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি একাধিক মানুষের কাছে বিচারও চেয়েছি।
১৪ তারিখে আমার স্বামী ও শাশুরী বাড়িতে না থাকায় রাতে শোবার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করলে আমি চিৎকার করতে থাকলে প্রতিবেশী বারিক, রফিকুল ও মহিলারা এসে আমাকে উদ্ধার করে।
আমার শশুর ও স্বামী পরে এসে এই ঘটনা লুকিয়ে রাখার জন্য হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
আমি থানায় অভিযোগ করেছি, শশুর হয়ে আমার প্রতি তিনি যে অন্যায় করেছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এলাকাবাসী অনেকেই জানান, আব্দুস সামাদ একজন চরিত্রহীন লোক, ছেলের বউ মেয়ের মতন তার দিকেও কূনজর দিতে দিধাবোধ করেনি। এর আগেও এ নিয়ে শালিস ও হয়েছে। আব্দুস সামাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া দরকার। যাতে ভবিষ্যতে এধরনের জঘন্যতম অপরাধ করতে আর কেউ সাহস না পায়।
ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূর স্বামী ও শাশুরী জানায়, একটি দূর্ঘটনা হয়েগেছে এখন মিমাংসার চেষ্টা চলছে। এর আগেও আমরা শাসন করেছি কিন্তু ভালো হয় নি।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনামুল হকের মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
সলঙ্গা থানার উপপরিদর্শক এস আই আনোয়র হোসেন জানান, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রকিয়াধীন।
হু.ক/এসময়
Leave a Reply