মাটিখেকো বাদলপুত্রের কোটি টাকার উৎস কি?
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সরকারি নদী, ফসলি জমি কিংবা খালের মাটি কেটে ইটভাটাতে বিক্রি কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞার আদেশ থাকলেও ক্ষমতা যখন হাতের মুঠোয় তখন আর পিছনে তাকাতে হয়নি সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের সোলাই মার্কেট এলাকার নব্য কোটিপতি মোঃ সজিব মিয়ার।
স্থানীয় বাদল মিয়া ও বিলকিস বেগম দম্পতির বড়ো ছেলে সজিব ব্যক্তিগতভাবে ব্যাবহার করেন দামী সিএইচআর ব্রান্ড এর গাড়ি।
মধুমতী মডেল টাউন এলাকায় দুটি মাছের ঘের, গরুর খামার দখল করা বাড়ি, একাধিক স্থাপনা ও অফিস গড়েছেন মাটিখেকো বাদলপুত্র।
সিলেট কাস্টমস অফিসের সাবেক এক কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলের মধুমতীতে বানানো বাড়ির নিচতলায় ১টি, মডেল টাউন প্রবেশদ্বারে ডানপাশে ১টি, সোলাই মার্কেট ব্যাংক এশিয়ার নিচে ১৪০০ স্কয়ার ফিটের অফিসটি তার।
তার ব্যক্তিগত অফিস আছে ৫টি।
স্থানীয়দের অভিযোগ ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাবেক সভাপতি হাজী বাতেনের ঘনিষ্ঠ সহচর বাদল ও তার পুত্রভয়ে তটস্থ থাকতেন তারা।
অপরিকল্পিত মাটি উত্তোলনের ফলে এ এলাকার অনেক স্থাপনায় ধরেছে ফাটল।
সরেজমিনে দেখা যায় মধুমতী মডেল টাউন এলাকার দক্ষিণ পাশের সীমানা প্রাচীর ভেঙে চলে যায় মাটির অতল গহব্বরে।
শত শত ড্রাম ট্রাক লাগিয়ে গাড়িপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মাটি ইটের ভাটায় বিক্রি হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার কারনে জনমনে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সজিব মিয়া বলেন আমার বাবা মাটি কেটেছেন আমি তো মাটি কাটিনি।
বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানগুলো হামলার স্বীকার, আমি ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছি।
কোটি টাকার এতো বড়ো বড়ো ব্যাবসার মুলধন কোথায় পেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি হাসপাতালে আছেন পরে দেখা করে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন।
Leave a Reply