বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বগুড়ার জেলা দায়রা জজ শরনিম আক্তার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানের অপসারণ ও পদত্যাগের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আদালত প্রাঙ্গণে বগুড়া বিচার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,তিন জজের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বেলা ১২টায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন জেলা জজ আদালতের প্রধান হিসাব রক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম খোকন, পেশকার তোফায়েল আহম্মেদ, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় তারা বলেন, জেলা জজ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল জেলার দায়রা জজ শরনিম আক্তার,চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তারা বিভিন্ন অন্যায়-অনিয়ম করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ও অন্যান্য আসামিদের অবৈধভাবে আটকে রেখেছেন। তাদেরকে জামিন দেওয়া হবে না এমন নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া আমাদের কর্মচারীদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন। তারা সব সময় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলছেন। আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই। কিন্তু আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি না। এখন আমাদের একটাই দাবি তাদের তিন জনের অপসারণ।
বগুড়া জেলা জজ কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, জেলা ও দায়রা জজ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বগুড়ার শরনিম আক্তার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনার সরকারের আমলে এখানে দায়িত্ব পেয়েছেন। তারা জেলায় বহুমাত্রিক অপকর্ম করেছেন; যা বিচার বিভাগের জন্য অপমানজনক। এই কারণে তাদের অপসারণ চাই আমরা।
বিচার বিভাগের কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিলকে সমর্থন জানান বগুড়া অ্যাডভোকেট বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা জানান, আদালতে চলমান কার্যক্রমে তাদের সমর্থন রয়েছে। এই কারণে তারা আজ কোনো দায়িত্ব পালন করছেন না।
আদালতের একটি সূত্র জানায়, জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী এবং প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বগুড়ার জেলা দায়রা জজ শরমিন আক্তার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হবে; আইন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
হু.ক/এসময়
Leave a Reply