বিশেষ প্রতিবেদক:
যশোরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে একজন ওষুধ ব্যবসায়ীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবলীগ নেতা ঘোপের সোহাগসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর যশোর শহরের ঘোপ এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী ওই নারী মামলাটি আদালতে করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম কবীর মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোহাগ যশোর শহরের ঘোপ ধানপট্টির জলিল মিয়ার ছেলে।
অন্য আসামিরা হলেন, রাজবাড়ির পাংশা উপজেলার মেঘনা খামারপাড়া গ্রামের মুন্নাফ সরদারের ছেলে ও যশোর শহরের খড়কির ইউনুস আলী, মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালী গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আরিফ হোসেন এবং যশোর শহরের দড়াটানার নিউ ভৈরব হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মেসিয়ার নুর ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে বাদী যশোর শহরের একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ওষুধের ব্যবসা করছিলেন।
চলতি বছরের পহেলা জুন রাত ৮টার দিকে সকল আসামি বাদীর দোকানে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
রাজি না হলে খুন জখম করাসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে চলে যান আসামিরা।
৫ জুন গভীর রাত সাড়ে ১২টার দিকে সকল আসামি বাদীর ভাড়া বাসার দরজায় নক করেন।
দরজা খোলার সাথেই সকল আসামি ঘরের মধ্যে গিয়ে বাদীর স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
এই বিষয়টি কাউকে জানানো হলে বা মামলা করা হলে বাদী ও তার স্বামীকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যান আসামিরা।
সকল আসামি আওয়ামী ঘরানার হওয়ায় ওই সময় কোনো মামলা করতে সাহস পায়নি বাদী ও তার পরিবারের।
Leave a Reply