1. news@esomoy.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. admin@esomoy.com : admin :
বগুড়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত জিল্লুরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন - OnlineTV
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ অপরাহ্ন

বগুড়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত জিল্লুরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

এম এ শাহীন
ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

বগুড়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত জিল্লুরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত জিল্লুর রহমানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে গাবতলী উপজেলার গোড়দহ উত্তরপাড়া এলাকা থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক তরিকুলসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ বলেন, আদালতের নির্দেশে জিল্লুর রহমানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

ময়নাতদন্ত শেষ হলে আবারো যথাযথ পদক্ষেপে দাফন করা হবে।

নিহত শ্রমিক দলের নেতা জিল্লুর সরদারের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার গোড়দহ উত্তরপাড়া গ্রামে।

জিল্লুরকে হত্যার অভিযোগে গত ২৪ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম।

মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪০০ জনকে।

মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েকজন মন্ত্রী, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও দলের শীর্ষ নেতাদের হত্যার ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে বগুড়া শহরের প্রধান সড়কে ঝাউতলা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর রিভলবার, পিস্তল, বন্দুক ও আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।

এ সময় ককটেল ও পেট্রলবোমা হামলাও হয়। ছাত্র-জনতার মিছিলে ছিলেন শ্রমিক দলের নেতা জিল্লুর সরদার।

হামলায় ছাত্র-জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়াতে থাকলে জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে জিল্লুর সরদারকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।

গুলি জিল্লুরের বুকে লাগলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

গাবতলী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি রায় তাঁর হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে জিল্লুরকে গুলি করেন।

পরে স্থানীয় লোকজন জিল্লুরকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2019
Design By Raytahost