1. news@esomoy.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. admin@esomoy.com : admin :
বগুড়ায় শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার, মুক্তিপণের চিঠিসহ নারী আটক - OnlineTV
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন

বগুড়ায় শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার, মুক্তিপণের চিঠিসহ নারী আটক

এম এ শাহিন
ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

বগুড়ায় শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার, মুক্তিপণের চিঠিসহ নারী আটক। 

বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ 

বগুড়ায় মাহাদী হাসান (৪) নামের এক নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

হত্যার অভিযোগে তহমিনা নামের এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।

তহমিনার ঘর থেকে মুক্তিপণের ৫ লাখ টাকা দাবি করে লেখা একটি চিরকুট জব্দ করা হয়েছে।

নিহত মাহাদী হাসান বগুড়া শহরের নিশিন্দারা ধমকপাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে।

তহমিনার বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার জানগ্রামে।

তিনি দ্বিতীয় স্বামী আলিফের সঙ্গে নিশিন্দারা ধমকপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈন উদ্দীন বলেন, তহমিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কিছুটা সুস্থ হলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

শিশুটির বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর থেকে মাহাদীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সারা দিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি।

সন্ধ্যার দিকে বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

রাতভর পাড়া-প্রতিবেশী বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর করতে থাকেন।

ভোর ৬টার দিকে তহমিনার ঘরের পেছনে একটি বস্তায় মাহাদির লাশ দেখতে পান।

লাশ উদ্ধারের সময় তহমিনা সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করছিলেন।

তাঁর বাড়ির পেছনের দরজা খোলা দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়।

পরে প্রতিবেশীরা তাঁর ঘর তল্লাশি করে একটি চিরকুট উদ্ধার করেন।

তাতে লেখা রয়েছে ‘তোমার সন্তানকে ভালোভাবে দেখতে হলে গলির মধ্যে ৫ লাখ টাকা রেখে যাও।

স্থানীয়রা জানান, চিরকুট উদ্ধারের পরেও তহমিনা হত্যার বিষয়ে মুখ না খোলায় তাঁকে গণপিটুনি দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে তহমিনাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

স্থানীয়রা আরও জানান, তহমিনার স্বামী আলিফ উদ্দিন বগুড়া সদরের ঘোলাগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।

তিনি ওয়ার্কশপে কাজ করেন। আলিফের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হলেন তহমিনা।

এ ছাড়া তহমিনার দুটি সন্তান রয়েছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার জানগ্রামে বাবার বাড়িতে তিনি সন্তানদের রেখেছেন।

তিন মাস আগে আলিফ ও তহমিনা ধমকপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।

তবে ১৫ দিন ধরে আলিফ ওই বাসায় থাকেন না।

নিহত শিশু মাহাদীর মা রুবি বেগম আলিফের খালাতো বোন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হওয়ার পর পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। আশপাশের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা গেছে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তহমিনা শিশুটির হাত ধরে চারমাথা বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর ওই পথ ধরেই মাহাদীসহ তাঁকে বাসার দিকে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

পুলিশ আরও জানায়, আজ শুক্রবার সকালে শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তহমিনাকে আটক করলেও এলাকাবাসীর বাধার মুখে শিশুটির লাশ রেখে ফিরে আসে। দুপুর ১২টার দিকে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও সেনাসদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2019
Design By Raytahost