রাজধানীর মিরপুরে বেশিরভাগ ফুটপাত হকারদের দখলে।
সুমন খান:
রাজধানীর মিরপুরে প্রশস্ত ফুটপাতও চলে গেছে দোকানপাটের দখলে কে শুনে কার কথা?
কথায় আছে জোর যার” মুল্লুক তার” এমনটা চিত্র দেখা যাচ্ছে।
২-৩ স্তরের দোকানের কারণে ব্যাহত পথচারী চলাচল।
কোথাও ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল সড়কে উঠে গেছে দোকানের বহর।
সংকুচিত হয়েছে ব্যস্ত রাজপথ দিশারা হয়ে পড়েছে পথযাত্রীরা ।
এমনটা চিত্র দেখা যাচ্ছে মিরপুরে ,এক মুক্তিযোদ্ধার মার্কেট ও মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে, বাড়ছে দুর্ঘটনা ।
অথচ কে শুনে কার কথা প্রতিনিয়ত চলছে ফুটপাতে দখল বাণিজ্য।
এসব উচ্ছেদে এখনো দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই দুই সিটি করপোরেশনের শুধু তারা চোখে কাঠের চশমা পরে বসে আছে!
আর কানে তুলা দিয়ে অন্ধ সেযে আছে তাদের নেই পদক্ষেপ এমনটা প্রশ্ন তুলছেন জনগণ।
ছোট ছোট দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি আদতে ফুটপাত।
পথচারীদের হাঁটা চলার জন্য থাকলেও, চলে গেছে পুরোপুরি হকারদের দখলে।
এমন চিত্র মিরপুর এক নাম্বার দেখা যাচ্ছে।
শুধু এক নম্বর থেকে মিরপুর ১০ নম্বরের ফুটপাতে নেই পা ফেলার জায়গাটুকুও।
মূল সড়কের পাশে ৩০ ফুট চওড়া ফুটপাত।
অথচ সেখানে বসছে ২-৩ স্তরে দোকানপাট, একদিকে হলো অবৈধ অটো চালিত অটো রিকশা পার্কিং করে বসে আছে, অন্যদিকে ফুটপাত দোকান নিয়ে, পথচারীরা পারতেছে না হারতে কে শুনে কার কথা” কে দেখে এই নিয়ম-নীতি ।
শুধু মিরপুর নয়, নগরীর অন্যান্য এলাকার ফুটপাতেরও একই দশা।
নিয়ম ভেঙে কেনো ফুটপাতেই বসাতে হয় দোকান?
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিন্ন কোনো ব্যবস্থা করা হলে ফুটপাতে বসবেন না।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পথচারীদের হাঁটার জন্য প্রশস্ত করা হয়েছিল সড়কের দু’পাশের ফুটপাত। প্রত্যাশা ছিল- এবার হয়ত পাল্টাবে অবস্থা।
কিন্তু ঘটেছে উলটো এই উল্টাপাল্টা জিনিস দেখে অনেকেই দিশেহারা আমরা কি চেয়েছিলাম আর কি পেয়েছি আর কি হচ্ছে এগুলো , আসলে দেশটা স্বাধীন হয়েছে কি সবকিছু দখল করার জন্য নাকি।
দখলবাজি করার জন্য আসলে আইন বলতে কিছুই নেই সব কিছু জোর যার মুল্লুক তার।
এদিকে দেখা যাচ্ছে কিছু সার্জেন্ট কিংবা এসআই এদের চুপিচুপি হাতের ইশারা সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে যদি আপনারা আমার দিক দেখেন ।
এদিকে এক ফুটপাত ব্যবসায়ী বলতেছেন মনির এক এসআই বলছে আমি ডিউটি এখানে সব সময় করি আমার বিষয়ে দেখলে আমি এখানে বসতে কোন বাধা দিব না।
তথ্য এস আই শাকিল বিরুদ্ধে সার্জেন্ট রনজিত সহ আরো কয়েকজন।
গণমাধ্যম যদি ভিডিও করতে গেলে সার্জেন্ট এবং এস আই তারা বাধা দেন।
কেন ভিডিও করতেছেন আপনাদেরকে অধিকার দিছে ভিডিও করার জন্য তাদের ব্যবহার দেখলে মনে হচ্ছে, আবার তারা রাম রাজ্য কায়েম করার জন্য পায়তারা করতেছেন।
এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পরিবর্তিত সময়ে পরিস্থিতি ভিন্ন রকমের ছিল, কিন্তু এখন আমরা এই কাজগুলো করার কথা ভাবছি।
আশা করি যারা অবৈধ দখলদার আছেন তারাও আমাদের সহায়তা করবে।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী।
নগরবাসীর চাওয়া, দ্রুত দখলমুক্ত করে ফিরিয়ে দেওয়া হোক তাদের হাঁটার পথ।
ফুটপাত দখলদার কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, আগের দিন বাঘে খেয়েছে এটার এখন নাই।
দেশ স্বাধীন করেছে ইচ্ছামতন চলবো কোন চাঁদাবাজি এসব চলবে না কেউকে এক টাকা দিতেও পারবো না পুলিশ বলেন নেতা খাতা বলেন থানা বলেন এদের করার আর সময় আমাদের নেই।
স্বাধীন করেছি অনেক কষ্টের পর এই দেশটা বুঝছেন মামা কি বলতে চাচ্ছি আর কি বলব বুঝে নিয়েন কথা বাড়াইয়েন না সময় নেই।
Leave a Reply