মল্লিক জামাল, স্টাফ রিপোর্টার:
বরগুনার তালতলীতে জনতার হাতে আটককৃত অবৈধ মালবোঝাই ট্রাক ২লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময় ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওসি শাহজালালের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) তালতলী সাংবাদিক ফোরামে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ওই ট্রাকের মালামাল চুরি মামলার পলাতক আসামীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঢাকাস্থ মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সের লিগ্যাল অফিসার গিয়াস উদ্দিন ফরাজী অন্তত ২ বছর আগে উপজেলার নিশানবাড়িয়া এলাকায় কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ সম্পন্ন করে তাদের অকেজো ট্রাক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই রেখে চলে যায়।
চলতি বছরের ২৫ আগষ্ট আবার ওই গিয়াস উদ্দিন এসে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ খানসহ প্রভাবশালীদের যোগসাজসে আমাদের বিরুদ্ধে ওই ট্রাকের মালামাল ও পাথর চুরি হয়েছে বলে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুন মামলাটি সত্য বলিয়া আদালতে পেনাল কোডের ৩৭৯ ধারার অপরাধ করিয়াছে বলিয়া মনগড়া রিপোর্ট দাখিল করেন।
ওই মামলায় আসামীরা হাজতবাস থেকে বের হওয়ার ১৫দিন পরে গিয়াস উদ্দিন তার লোকজন দিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর সেই রেখে যাওয়া অকেজো ট্রাকগুলো কেটে ভাঙ্গারী মালামাল হিসাবে অন্য দুটি ট্রাকে রাতের আধারে পাচার করছিল।
টের পেয়ে স্থানীয় জনতা ট্রাক দুটি আটক করে থানায় সোপর্দ করেন।
খবর পেয়ে আসামীদের লোকজন থানায় এসে ওসি সাহেবকে ওই মালামাল আলামত হিসাবে জব্দ করতে বলেন।
ওসি তাদের কথায় কর্নপাত না করে উল্টো তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন।
ওসি শাহজালাল এই ট্রাকের মালামাল নিয়ে দুদিন ধরে ওই কোম্পানীর লোকজনের সাথে দর কসাকষি শেষে ২ লক্ষ টাকার বিনিময় ট্রাকদুটি ছেড়ে দেন।
আলামত হিসেবে ঐ ট্রাকের মালামাল ছেড়ে দেয়ার কারনে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় ফেসে যাওয়ার আশংকা করছেন ভুক্তভোগী আসামীরা।
ইউপি সদস্য জাহিদ খান বলেন, আসামীপক্ষ মালামাল চুরি করে ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রি করতে গিয়েছিল এর প্রমান আমার কাছে রয়েছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে ওই মালামালের মালিক পক্ষের লোক তালতলী থানায় মামলা করেছে।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজালাল বলেন, জনতার হাতে আটককৃত ট্রাকের মালামাল বাদী গিয়াস উদ্দিনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মালামাল আদালত চাইলে সেখানে বাদী পক্ষ জবাব দিবে।
আমি কোন ঘুষ নেইনি এবং ঘুষের ব্যাপারে আমার জানা নেই।
এসময়/