স্টাফ রিপোর্টার কাজী জিহাদ:
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সদ্য বিদায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া বিনতে সোলাইমান বদলী জনিত বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর জাজিরা উপজেলা মিলনায়তনে এ বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া বিনতে সোলাইমান নতুন কর্মস্থল ঢাকা বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন সদস্য। তিনি ২০২৪ সালের জুলাই থেকে জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদান করেছিলেন।
যোগদানের পর তিনি নিজের সরকারি দপ্তরকে ঘুষ মুক্ত জনবান্ধব এক প্রতিষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। জনগণকে যেখানে ভূমি অফিস মানেই ভোগান্তি আর টাকার ছড়াছড়ি সাধারণ মানুষের হয়রানি আর অসহায়তার অভিযোগ সেখানে ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা মূলক ও ঘুষবিহীন সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করে জনগণের আস্থা ও প্রিয় মানুষ হয়ে ওঠেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)সাদিয়া বিনতে সোলাইমান।
তার যোগদানের পর থেকেই বদলাতে থাকে ভূমি অফিসের দৃশ্যপট চিত্র। সেবা প্রত্যাশীরা যেন দালালের কারণে হয়রানির শিকার না হন এজন্য নিজের কক্ষে জনসাধরণের যাতায়াত সহজ করেন। যে কোনো প্রয়োজনে সরাসরি তার কাছে আসতে বলেন। শুরু করেন সেবা প্রত্যাশীদের আস্তা অর্জন।
ভূমি অফিসকে দালালমুক্ত করে জমি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা গ্রহীতার অধিকার নিশ্চিত করে সবার কাছে ভূমি অফিসকে সহজ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। রেকর্ড পরিমাণ ভূমির নামজারি করেছেন তিনি। এমন অসংখ্য ভালো কাজ করে জাজিরা সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে সবার প্রিয় কর্মকর্তা হয়ে উঠেছিলেন।
জাজিরা উপজেলাতে জনগনের সেবা দিতে দিন রাত অক্লান্ত কাজ করে গিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে উপজেলার মিস কেস, নামজারি, জমা, ভাগ ও খারিজ সংক্রান্ত মামলা শুনানির মাধ্যমে খুব কম সময়ে সমস্যা নিষ্পত্তিকরণ, ভূমি নিয়ে স্থানীয় বিরোধের অবসান, স্বচ্ছতার সঙ্গে ভূমি সেবা প্রদান সহজীকরণ, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ভেজাল বিরোধীসহ সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি।
এ বিষয়ে সদ্য বিদায়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া বিনতে সোলাইমান বলেন, আমার এ স্বল্প সময়ে আমি চেষ্টা করেছি আমার অফিসের স্টাফদের মধ্যে সেবার মানসিকতা তৈরি করার।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা স্বচ্ছ ও দ্রুততার সাথে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সেবা প্রার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি তা সেবা প্রার্থীরাই বলতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরি রায়সহ উপজেলার প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময়/