pub-6805004967984384, DIRECT, f08c47fec0942fa0

বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ

বেনাপোল থেকে মসিয়ার রহমান কাজলঃ 

এখন আর রসের ভাড় নিয়ে গাছিদের তেমন গ্রামের পথে দেখা যায় না।

শীতকালে হরেক রকমের পিঠার আয়োজন হয়, কিন্তু খেজুর গাছের বিলুপ্তিতে রস আর মিলছেনা।ফলে নানা রকমের পিঠার বাহার আর চোখে পড়েনা।

কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ। এক সময় র্শাশার মাঠে, বাড়ির আঙ্গিনায়, রাস্তার দু’ধারে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ। এখন কিছু কিছু খেজুর গাছ থাকলে তা সংরক্ষন করাটা যেন আমরা গরজ মনে করছিনা।

স্থল বন্দর বেনাপোল পৌরসভার সাদীপুর গ্রামের আশি বছরের বৃদ্ধা হাসান মিয়া বলেন,বাবা আমরা এক ১ টাকা দিয়ে এক ভাড় রস কিনেছি।

এ রস দিয়ে খেজুরের গুড়, ভাপা পিঠের আয়োজন এক মহোৎসব চলতো, এখন এ কথা যেন কল্প কাহিনী। এখন প্রতি ভাড় রসের দাম ৩০০-৩৫০ টাকা।

স্থল বন্দর বেনাপোল ও র্শাশার মাঠে তেমন একটা খেজুর গাছ দেখা না গেলেও ঝিনাইদাহ, মেহেরপুর,চৌগাছা অঞ্চলের মাঠে বেশ খেজুর গাছ দেখা যায়।

শীতের শুরতেই খেজুর গাছ কেটে রসের সন্ধানে গাছিরা তৎপর।গ্রামীন এতিহ্য রক্ষায় ও রসের চাহিদা মেটাতে চৌগাছার স্বরুপদা গ্রামের রেজাউল হোসেন জানান আমাদের ১৬ টার মত খেজুর গাছ রয়েছে।

খেজুর বাগান থেকে প্রতিদিন ৬-৭ ভাড় খেজুর রস আহরন করে থাকেন। প্রতি ভাড় রস ২০০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি করে বলে তিনি জানান।

বেনাপোল পোট থানার রাজাপুর গ্রামের ৬৫ বছরের আব্দুল সালাল বলেন, আমরা এখন অলস হয়ে গেছি।

দোকান হতে বিভিন্ন ঠান্ডা পানীয় ক্রয় করে খাই, কিন্তু খেজুরের রস আহরনে প্রচেষ্টা আমাদের নেই।

যে সব খেজুর গাছ আছে,সেগুলো ও রস আহরনের জন্য পরির্চযা করছি না, কিভাবে সুমিষ্ট রস পাবো।

যশোরের র্শাশা উপজেলার উপজেলার কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা বলেন,খেজুর রস ও গুড় এদেশের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। গুড় মুড়ি খেতে খেজুর রসের বিকল্প নেই। আমাদের চতুরদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক খেজুর গাছ, সে গুলোকে পরির্চযা করা প্রয়োজন। গ্রাম বাংলার উৎসব ফেরাতে আমাদের কে অন্যান্য গাছের পাশাপাশি খেেজুর গাছের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিৎ।

এসময়/ 

admin
Author: admin

Related Articles