pub-6805004967984384, DIRECT, f08c47fec0942fa0

হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ সাবেক পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে

হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ সাবেক পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (SDE) মোঃ ময়েজ উদ্দিনের নামে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

চাঁপাই নবাবগঞ্জে কর্মকালীন থাকা অবস্থায় গত জনু মাসে তিনি পিয়ারেলে জান,চাকুরী কালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন এই কর্মকর্তা উচ্চ পর্যায়ের কর্তাদের ম্যানেজ করে তিনি এসব করেছেন বলে দাবি করছেন অনেকে। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী গাঁ ঢাকা দিলে ও তিনি এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

আর্মি ক্যান্টনমেন্ট গেট কাঁচা বাজার, তেরখাদিয়া কলেজ পাড়া জামে মসজিদের পাশে, রাজপাড়া, রাজশাহী। এই বাড়িটি ১৯৯৪ সালে করেন। এখানের স্থায়ী বাসিন্দা তিনি।

খবর নিয়ে জানা যায়, তার নামে বেনামে রয়েছে অনেক ফ্লাট এবং ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকা,স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে অনেকেই আত্ম গোপনে গেলে তিনি সময়ের আগেই নিজেকে বাঁচাতে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন, এবং কালো টাকা সাদা করার লক্ষ্যে ডিপ্লোপার কোম্পানির সঙ্গে ফ্ল্যাট বেচাকেনা যুক্ত হয়ে পড়েন।

এ সামান্য সরকারি চাকরি করে মোঃ ময়েজ উদ্দিন আলাউদ্দিনের চেরাগের মতো হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক কিভাবে হলেন তা নিয়ে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে পুরা রাজশাহী এলাকা জুড়ে।

এতদিন অনেকেই স্বৈরাচারী ক্যাডারদের ভয়ে মুখ খুলতেন না, গত ৫ই আগস্টের পর দেশ নতুন ভাবে স্বাধীন হওয়ার পরে একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পাহাড় সমান সম্পদ সামনে আসতে শুরু করে।

রাজশাহীতে নিজেস্ব ৫ তলা বাড়ি,রাজশাহী কলেজ হোস্টেলের পাশে কসমোপলিটন বিল্ডিং এর দশ তলায় নদীমুখী একটি আলিশান ফ্লাট, আলুপট্রি স্বচ্ছ টাওয়ারে একটি ফ্লাট, তেরখাদিয়া হাউজিং এস্টেট এলাকায় একাধিক ফ্লাট, ঢাকার বনানীতে একটি ফ্লাট, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিকে একটি ৯ তলা বিশিষ্ট ও একটি ১৫ তলা বিশিষ্ট পার্টনারশিপে বিল্ডিং, ময়মনসিংহের ভালুকা ও ঢাকার টঙ্গীতে মোট ২ টি জিও ব্যাগের পার্টনারশীপে কারখানা যেখান থেকে ঠিকাদারদেরকে নদীর বাঁধ বাঁধাই এর জন্য জিও ব্যাগ কিনতে বাধ্য করা হতো, এছাও চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে জমিসহ আরো সম্পদ রয়েছে।

এছাড়াও তিনি বিল্ডিং ডেভেলপার বিজনেস এর সাথেও জড়িত এবং বিভিন্ন জায়গায় তার ইনভেস্ট করেছেন। টাকা ইনভেস্ট করার জন্য সঠিক খাতের খোঁজে আছেন।

সে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে দারিদ্র্যতার সাথে লড়াই করে রাজশাহী পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করে অনৈতিক ভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। তার ব্যক্তিগত ২ টি প্রাইভেট গাড়িতে চলা ফেরা করেন, ঢাকায় বিভিন্ন কাজে তিনি যাতায়াতে বিমান ব্যবহার করেন যার অসংখ্য প্রমান তার ফেসবুক একাউন্টে বিদ্যমান।

গত ৩০ ডিসেম্বর খন্দকার রউফ ইসলাম নামে এক ব্যক্তি দুর্নীতির দমন কমিশন ঢাকায় তার বিরুদ্ধে এক অভিযোগ দায়ের করেন।

সাবেক পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (SDE) মোঃ ময়েজ উদ্দিন কাকতালীয় ভাবে কিভাবে এত সম্পদের মালিক বনে গেলেন তা জানতে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার ব্যাপারে যে অভিযোগ আসছে তা দশ ভাগ সত্যি আর ৯০ ভাগ মিথ্যা, আমার কাছের কেউ সাংবাদিককে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এসব করছে।

এসময়/ 

admin
Author: admin

Related Articles