স্টাফ রিপোর্টার এস চাঙমা সত্যজিৎঃ
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গাছবান এলাকার বাবুরাপাড়া মিলন সংঘ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ও অষ্টশীলধারী ধর্মপ্রাণ দায়ক-দায়িকাকে কতিপয় সেনা সদস্যের হেনস্তা করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে উপর্যপুরি ধর্মীয় পরিহানির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের চার গণতান্ত্রিক সংগঠন।
আজ সোমবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে বৌদ্ধ বিহারে তল্লাশি, জিনিসপত্র তছনছ, বিহার অধ্যক্ষ ও অষ্টশীলধারী ধর্মপ্রাণ দায়ক-দায়িকাদের ফোন কেড়ে নেয়া এবং হেনস্তাকারী সেনা সদস্যদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশেন (এইচডব্লিউএফ), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ।
উল্লেখ্য, আজ ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ ভোর ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর সেনা জোন থেকে ২টি পিক-আপ যোগে ২০/২৫ জন সেনা সদস্য খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বাবুরাপাড়া মিলন সংঘ বৌদ্ধ বিহার ঘেরাও করে তল্লাশি চালায়।
সেনারা প্রথমে বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ আর্য্য রক্ষিত ভিক্ষুর কক্ষে তল্লাশি চালায়, তাকে অপদস্থ করে ও মোবাইল ফোনগুলো কেড়ে নেয়।
এ সময় পৌষ পূর্ণিমা তিথি উপলক্ষে পূজা-অর্চণার জন্য বিহারে সমবেত অষ্টশীলধারী ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ও এলাকার দায়ক-দায়িকাদের ফোনও সেনা সদস্যরা কেড়ে নেয় এবং তাদেরও হেনস্তা করে।
পরে সেনারা বিহারের সব কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়।
সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি)’র সভাপতি অঙ্কন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের (এইচডব্লিউএফ)’র সভাপতি নীতি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের (ডিওয়াইএফ)’র সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান।
এসময়/