বগুড়া থেকে এম এ শাহিনঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রতারক প্রেমিকাসহ ডিবির ভুয়া কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় একটি ওয়্যালেস সেট জব্দ করা হয়েছে। আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ডেকে এনে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, শিবগঞ্জের ময়দানহাটা ইউনিয়নের নন্দিপুর মহাববত গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম ডপিন (৩০) ও দিনাজপুর সদরের সুরবলতর গ্রামের মৃত সাফি উদ্দিনের মেয়ে সুমি (২৬)।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের কুপা মহাবালা এলাকায় বেড়াতে যান বগুড়া সদরের রাজাপুর কুটুরবাড়ী গ্রামের আমিনুল ইসলাম ও তার প্রেমিকা বগুড়া শহরের সুমি আক্তার। এ সময় সুমি আক্তার তার পূর্ব পরিচিত মহাব্বত নন্দীপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম ডপিনকে কৌশলে মোবাইল ফোনে সেখানে ডেকে নেয়।
এরপর রবিউল ঘটনাস্থলে তার পকেট থেকে একটি ওয়্যারলেস সেট বের করে নিজেকে ডিবি কর্মকর্তা হিসাবে পরিচয় দেয় এবং ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে প্রেমিক আমিনুলের কাছে। এ সময় আমিনুল তাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন সেখানে ছুটে আসে। এরপর স্থানীয় লোকজন রবিউল ও সুমিকে আটক করে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ডিবির ভুয়া কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ডপিন ও প্রতারক প্রেমিকা সুমি আক্তারকে গ্রেফতার করে।
প্রেমের ফাঁদে পড়া আমিনুল ইসলাম বলেন, অল্প কিছুদিন আগে সুমি আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি জানতেন না সুমি প্রতারক ও অপহরণ চক্রের সদস্য। সুমির কথা শুনে তিনি মঙ্গলবার বিকেলে শিবগঞ্জের কুপা মহাবালা এলাকায় বেড়াতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি বিপদে পড়েন। সুমি মোবাইল ফোনে কৌশলে তার সহযোগী ডিবির ওই ভূয়া কর্মকর্তাকে ডেকে নেয় এবং সে তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তবে স্থানিয় লোকজনের সহযোগিতায় পরে তিনি বিপদমুক্ত হন।
শিবগঞ্জ থানার ওসি মো: শাহীনুজ্জমান শাহীন বলেন, ডিবির কর্মকর্তা পরিচয় দানকারী রবিউল ইসলাম ডপিনকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে একটি ওয়্যারলেস সেট জব্দ করা হয়েছে। সেইসাথে তার সহযোগী সুমি আক্তারকেও গ্রেফতার করা হয়।
তারা প্রতারক ও অপহরণ সিন্ডিকেটের সদস্য। প্রেমের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন যাবত পরিকল্পিত ভাবে তারা এভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। এই প্রতারক সিন্ডিকেটের আরও সদস্য রয়েছে। তাদেরকেও খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হবে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রতারক রবিউল ইসলাম ও সুমিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসময়/