pub-6805004967984384, DIRECT, f08c47fec0942fa0
এসময়

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বীর মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চিতের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বীর মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চিতের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধা থেকে মোঃ আবু জাফর মন্ডলঃ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর প্রতীক আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ডিবি রোডের সামনে গাইবান্ধা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড এর কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন হয়।এসময় এই কর্মসূচিতে সাত উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা অংশ গ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক আহ্বায়ক মাহমুদুল হক শাহজাদা বলেন, একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যেভাবে জুতার মালা পড়িয়ে হেনস্তা করা হয়েছে এটা স্বাধীনতাকে হেনস্তা করা হয়েছে।

একজন মানুষ অপরাধী হতে পারে, তার নামে মামলা থাকতে পারে তার মানে এই নয় যে তাকে জুতার মালা পরাবেন। তার অপরাধের জন্য আইন আছে তবে কিভাবে একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পড়িয়ে হাত জোর করে মাফ চেয়ে নিতে পারে।

এই লজ্জা জাতির, এই লজ্জা এই বাংলাদেশের সকলের।

শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা কানুকে নয়, যারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক আছে তাদের সকলের গলায় এই জুতার মালা পরানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এমন আচরণের প্রেক্ষিতে আমাদের কেবল প্রতিবাদ, শোক এবং নিন্দা জানানোর ক্ষমতাই অবশিষ্ট রয়েছে।

এছাড়া বাকি বক্তারা ঘটনার সাথে জড়িত সকল অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সদর উপজেলা কমান্ডার আলি আকবরের সঞ্চালনায় ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক আহ্বায় মাহমুদুল হক শাহজাদা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন-
প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার ওয়াসিকার মোহাম্মদ ইকবাল মাজু,বীর মুক্তিযোদ্ধা বাছেদ সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান চান প্রমুখ।

গত রোববার দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই ওরফে কানুর (৭৮) গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ওই দিন রাতেই এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

আবদুল হাই ঘটনাস্থলের পাশের লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা।

তিনি কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

এ ছাড়া একই সংগঠনের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার সাবেক সহসভাপতি।

তাঁর পরিবারের অভিযোগ, লাঞ্ছনাকারীরা সবাই স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী।

আবদুল হাইকে এলাকাছাড়া করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে।

তবে শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।

তাঁদের ভাষ্য, যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের কেউই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী নন।

সর্বশেষ এ ঘটনায় সোমবার রাত আটটার দিকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের বিবৃতিতে দলটির দুই সমর্থককে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।

এসময়/ 

admin
Author: admin

Related Articles