কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মাদক বিরোধী অভিযানের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য স্থানীয় জনগন মোবাইল করলে, সেখানে গিয়ে মামলার আসামী হয়ে জেল হাজতে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা’র সভাপতি ও গণকন্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন আরিফ।
গত রোববার (৫ জানুয়ারি) উপজেলার বাবুরহাট এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায় ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। সেখানে গিয়ে আসামী হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে হাত করা লাগিয়ে ৪০ হাজার টাকায় আসামীদের ছেড়ে দেওয়ার রফাদফা করার সময়, জনগন ক্ষিপ্ত হয়, একপর্যায়ে আসামী্রা হাতকড়া হাতে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এমন সময় পুলিশ ও জনগনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আসাদুল মেম্বার মুঠো ফোন যোগে সাংবাদিক আনোয়ারকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য ডাকে, সাংবাদিক আনোয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। তারপর জানতে পারে হ্যান্ডকাফ হাতে আসামি পুলিশের গাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কর্তব্যরত এসআই সাংবাদিক আনোয়ারকে থানায় গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিতে অনুরোধ করেন। অনুরোধের একপর্যায়ে সাংবাদিক আনোয়ার ভারুঙ্গামারী থানা পুলিশের সঙ্গে থানায় আসে।
উক্ত ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি সাহেব সাংবাদিক আনোয়ারের নামে একটি মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় জেল হাজতে পাঠানোর ঘটনায় ধারাবাহিক নিউজ চলমান ছিল। এরই প্রেক্ষিতে পূর্ব শত্রুতামূলে, ওসি মনিরুল ইসলাম সাংবাদিক আনোয়ারকে আবারো একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন ভাবে, পুলিশের কাজে বাধা ও মাদক মামলায় আসামি করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
যাহা এজাহারে উল্লেখিত সময়ে সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন সোনা হাট কলেজ মোড়ে একটি স্যান্ডেলের দোকানে বসা ছিল সিসিটিভি ফুটেছে তাহা প্রমাণিত হয়েছে।
এমনকি আরো প্রমাণিত হয় যে ঘটনার তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২৫ ইং এর স্থলে ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল লেখা হয়।
উপরোক্ত ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে সকল সাংবাদিকগণ এবং বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় সাংবাদিক সহ সর্বস্তরের জনগণ এবং সচেতন মহল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এসময়/