
যশোরের কেশবপুরে হরিহর নদী পরিষ্কারে কেশবপুরে স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ।
মালিকুজ্জামান কাকাঃ
"নদীর নাম হরিহর জমজমাট সেথা কচুরি পানা
পানি যায় না দেখা ওরে ওতে নামতে বুঝি মানা।
আগামীর জন্য রক্ষা করতে হবে বাংলার সব নদী
এখনি উদ্যোগ নইলে হবে ইতিহাস বইয়ের ছবি।
শিশুর বইয়ে হোক এসব পরিশ্রম স্বর্ন কাব্য গাঁথা
পানি কাঁদা হোক স্বর্দি জ্বর দেবো গায়ে নক্সিকাঁথা
দেশের জন্য দশের কাজে ওহে তুমি পরম সু-বীর
সবুজ পল্লী বর্ষা শরৎ গ্রীষ্মে হাত পাখাময় নীড়।
দেশ বাঁচাও নদ নদী খাল বিল আর সবুজ গ্রাম
শিশু ছোট বড় নারী মানুষ কর্মে হাসুক অবিরাম
পানি নিষ্কাসনে স্বেচ্ছাসেবক প্রশংসায় উদ্যোক্তা
বঙ্গ জুড়ে সূর্য সন্তান, দেশের সম্পদ ওরা মনি মুক্তা।
প্রকৃতি মাটি দেশ জনতার জবর দখল ভাই হটাও
যদি আমি উল্টো বিবেক অসাধু আমাকে ধাক্কা দাও
তোমার কাজ সমাজ গড়ার হ্যা মানুষের মত মানুষ
কাঁদা মেখে খুশি না হয় জন্ম নিলেম মুখে স্বর্ন চামুস
জনগণ, ওর অধিকার প্রতিষ্ঠায় তুমি দেশের কর্মী
পদ্ম ফুল তোমায় শুভেচ্ছা দিই ওহে আমি মরমী
খুশির জোয়ারে সাধু কর্মী, ও মহান, এবং জন্মভূমি
হাতে হাত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ওহে এসো তুমি আমি
গাছ আর নদী রক্ষার ধর্ম কোরআনে দেন অন্তর্যামী
সবুজ মাঠ খাল বিল নদী রক্ষা করে এসো হই মানী।"
যশোরের কেশবপুরে স্থানীয় যুবসমাজ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে হরিহর নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ১৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টির মধ্যেও অব্যাহত রয়েছে। নদীর মাঝপ্রবাহে স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা সরিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ উন্মুক্ত করছেন তারা।
অতিরিক্ত কচুরিপানার কারণে দীর্ঘদিন ধরে হরিহর নদীর পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। ফলে বর্ষা মৌসুমে প্লাবন ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, যা জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়। এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন সমাজের সচেতন কিছু তরুণ।
এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মিরাজ বিশ্বাস। তার সঙ্গে ছিলেন হৃদয় ব্লাড ব্যাংকের এডমিন বাবু বিশ্বাস, ‘প্রিয় কেশবপুর’ পেজের এনামুল কবির সবুজ, আশরাফুল, নয়ন, আলীম, ইকরামুল, সারাফাত, মোহাম্মদ ও সাদসহ প্রায় দুই ডজন তরুণ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম সুইট, পরিচালক, বর্ণমালা একাত্তর।
স্থানীয়রা জানান, হরিহর নদী কেশবপুর শহর ছাড়াও আশপাশের অনেক গ্রামের পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু কচুরিপানার তীব্রতায় তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকরা বলেন, “সরকারি উদ্যোগ না থাকলেও আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। নিজেদের এলাকা, জন্মভূমি রক্ষা করতে হলে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।”
তারা দাবি করেন, শুধু কচুরিপানা সরালেই চলবে না, প্রয়োজন নদী খনন ও দীর্ঘমেয়াদী পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এরা, স্বেচ্ছাসেবক সূর্য সন্তানবৃন্দ।
এসময়/