
প্রয়াত অধ্যাপক সিরাজুল হক স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দোয়া ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত।
হাকিকুল ইসলাম খোকন,বাপস নিউজঃ
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক অধ্যাপক সিরাজুল হকের স্মরণে নিউইয়র্কে এক আবেগঘন স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর.সি. মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং আনজুমানে ফারসি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠান হয়।খবর আইবিএননিউজ ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুমিত আল রশিদ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আনজুমানে ফারসি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান, ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের রাজনৈতিক সচিব জাভাদ আসগারি, অধ্যাপক সিরাজুল হকের সহপাঠী ও বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. কাজী নূরুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাওসার মুস্তফা আবুলউলায়ী, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ড. কে.এম. সাইফুল ইসলাম খান, ড.আবুল কালাম সরকার, ড. আহসানুল হাদী, ড. শামীম বানু, আনিসুর রহমান স্বপন, ড.ঈসা শাহেদী, ড. মাহবুবুর রহমান, ড. আব্দুল হাই, এবং অধ্যাপক সিরাজুল হকের জামাতা, নিউইয়র্ক প্রবাসী কবি ও সংবাদ সংস্থা বাপস নিউজ এর ভাইস চেয়ারম্যান এবং নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি কলামিস্ট এবিএম সালেহ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক ও গল্পকার অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খান।
বক্তারা বলেন, অধ্যাপক সিরাজুল হক ছিলেন এক বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী মানুষ, যিনি ফারসি ভাষা-সাহিত্য, সাংবাদিকতা, শিক্ষা এবং গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন বিনয়ী, বন্ধুবৎসল ও সহজ-সরল একজন মানুষ, যিনি সকল বয়সী মানুষের কাছে ছিলেন প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয়।
ড. কাজী নূরুল ইসলাম বলেন, সিরাজুল হক ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চিন্তার অধিকারী এবং তাঁর পরামর্শেই তিনি বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি অধ্যাপক সিরাজুল হকের নামে একটি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ও স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের প্রস্তাব করেন।
ইরানি দূতাবাসের প্রতিনিধি জাভাদ আসগারি বলেন, সিরাজুল হক দুই দশক ‘নিউজ লেটার’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ইরান-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মুমিত আল রশিদ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “আমার লেখালেখির প্রেরণা ছিলেন অধ্যাপক সিরাজুল হক। তাঁর অনুপ্রেরণায় বহু পত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য আমরা কাজ চালিয়ে যাব।”
স্মরণসভায় অধ্যাপক হকের সহকর্মী, শিক্ষার্থী ,আত্মীয়স্বজন এবং ভক্তরা তাঁর স্মৃতি ও অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানের শেষাংশে দোয়া পরিচালনা করেন ড. কেএম মাহবুবুর রহমান।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক সিরাজুল হক ২০২৫ সালের ২৬ জুন নিউইয়র্কের কুইন্স হাসপাতালে পরলোকগমন করেন। ২৯ জুন তাঁর মরদেহ ঢাকায় এনে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ফারসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক হকের পরিবারবর্গ, শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা। উপস্থিত সবার চোখে ছিল শ্রদ্ধা ও স্মৃতির সজলতা।অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সিরাজুল হক -এর নিউইয়র্ক প্রবাসী কন্যা সাংকৃতিক সংগঠক সাঈদা আক্তার রেজবিন উপস্থিত ছিলেন ।
এসময়/