প্রিন্ট এর তারিখঃ Aug 22, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Aug 6, 2025 ইং
যশোর রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ি ও স্টেশনে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য বেচা কেনার অভিযোগ।

যশোর রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ি ও স্টেশনে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য বেচা কেনার অভিযোগ।
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
যশোর রেলওয়ে জংশন তথা স্টেশন এলাকাটি মাদক, চোরাকারবারি, ছিনতাইকারী বাটপারে ছেয়ে গেছে। স্টেশন এলাকা ও আশে পাশে এখন প্রকাশ্যে ইয়াবা গাঁজা, ফেন্সিডিল বেচা কেনা হচ্ছে। শান্তিকামী যাত্রীরা এসব দেখে শঙ্কিত হচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ (আইসি) এস আই (নি:) মোঃ মিজানুর রহমানের মদদেই এসব অসামাজিক অপকর্ম চলছে।
দীর্ঘ দিন ধরে যশোর রেলস্টেশনটি মাদক, চোরা কারবারিদের আখড়া। বিভিন্ন অভিযোগে জানা যায়, জিআরপি পুলিশ ফাঁড়িটিই এখন মাদক দ্রব্য বেচা কেনার খুচরা হাট। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করেন ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই (নি:) মো: মিজানুর রহমান। তার পক্ষে দেখ ভাল করেন কনস্টেবল আবু তাহের ও মোঃ আশরাফুল ইসলাম। অর্থ্যাৎ অপকর্মের পালের গোদা ইনচার্জ, তার দুই সহযোগী হলেন, আবু তাহের ও আশরাফুল।
যশোর রেলওয়ে জি আর পি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এ-ই দুই জন সহযোগী নিয়ে সকল প্রকার অপকর্ম করছেন এবং তা প্রকাশ্যেই।
সূত্র জানায়, জি আর পি ফাঁড়ি ইনচার্জ এর অন্যায় অপকর্মের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গত ২১ জুলাই রেলওয়ে গোয়েন্দা পুলিশ রাজীব হাসান কে বদলি করেন। অথচ অবৈধ ১২০ পিচ ইয়াবাসহ চিন্নিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে চাকরিরত এক সিপাহি কে রাজীব হাসান ১২০ পিচ ইয়াবা সহ ধরে গ্রেফতার করেন।
মাদক কারবারি সরকারি এক কর্মচারীকে আটক করে ফাঁড়ি ইনচার্জ এর কাছে পেশ করেন গোয়েন্দা পুলিশ রাজীব হাসান। ঘটনার এখানেই শেষ নয়, মাদক ব্যাবসায়ীদের দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ রাজীব হাসান কে লাঞ্চিত করা হয়। এরপর মাদক ব্যাবসায়ীদের দিয়ে রাজীব হাসানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পর্যন্ত করা হয়। যদিও ভুল বুঝতে পারে শেষ পর্যন্ত ঐ অভিযোগকারী অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অভিযোগ প্রত্যাহার করলেও রাজীব হাসানকে এখনো দোষমুক্ত করা হয়নি।
সূত্র জানায়, ফাঁড়ি ইনচার্জ ও তার দুই দোসরের অপকর্মে বাধা প্রদান কারী ইন্টেলিজেন্ট শাখার পুলিশ রাজীব হাসান। এ কারণেই তাকে পরিকল্পিত ভাবে বদলি করা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, ঐ ১২০ পিচ ইয়াবা এবং মাদক কারবারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মচারীর শেষ পরিণতি কি হয়েছে। পুলিশের কোন মহল সেসব আর বলতেই পারছে না। এ বিষয়ে যশোর জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
জিআরপি কর্তার অমনোযোগ এবং মাদক কারবারি মদদে এর আগেও যশোর রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে যাত্রীদের মালমাল ও টাকা পয়সা ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছেন যশোর জিআরপির কনস্টেবল আনিচুর রহমান।
খুলনা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) নিকোলিন চাকমার দপ্তর থেকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে বিষয়টি এখনো তদন্তধীন। আর অভিযোগ পেলে যশোর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এসময়/
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারী : ESOMOY