পটিয়া ( চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী:
পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম থানামহিরা গ্রামে আগুনে পুড়ে নি:স্ব ৭ পরিবারকে পুন:রায় ঘর নির্মানে বাধাঁ প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতিবেশী শাহ আলম ও মৃত সামশুল আলমের পূত্রগণ জায়গা পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ঘর নির্মান করতে বাধাঁ প্রদান করছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বদি মেম্বারের পুরাতন বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে নুরুল হক, নুরুল আমিন, জাহেদুল হক, মাফুলা খাতুন, আজগর আলী, জানে আলম ও জাহানারা বেগমের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৭ পরিবারের আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
৭ পরিবারের বয়স্ক ও শিশুরা বসতঘর হারিয়ে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
ঘটনার পর তারা তাদের বসত ঘর পুন:রায় নির্মান করতে গেলে প্রতিবেশী মনছুর আলম, মোক্তার আলম, মো. এনাম ও মোজাম্মেল হক তাদের ঘর নির্মানে বাধাঁ দেয়।
নিরুপায় হয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পটিয়া থানার ওসি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অগ্নিকান্ডে ধংসস্তপের উপর বসে বৃদ্ধ মহিলারা ঘর করতে না পেরে কান্নাকাটি করছে। ছোট ছোট শিশু সন্তানেরা অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।
মানবতাহীন আচরণের কারণে এলাকার লোকজন প্রতিবেশীদের উপর ক্ষুদ্ধ মনোভাব পোষন করেন।
অভিযোগকারী আজগর আলী জানান, অগ্নিকান্ডে আমরা একদিকে সহায় সম্মলহীন হয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছি, অন্যদিকে প্রতিবেশীদের রোষানলের কারনে বেচেঁ থাকার আশ্রয় খুজে পাচ্ছিনা।
যেখানে আমাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা সেখানে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রতিবেশী রেহেনা আকতার জানান, আগুনে ক্ষতিগ্রস্থরা আমাদের জায়গা দখলে রেখে ঘর নির্মান করে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে।
ঘর যেহেতু পুড়ে গেছে সেহেতু জায়গার সমাধান করে ঘর নির্মান করলে ভবিষ্যতে আর বিরোধ হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, ক্ষতিগ্রস্থরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
এসময়/