গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃতঃ মুক্তিযোদ্ধা সুনীল তালুকদারের ছেলে নিমাই ওরফে দীপঙ্কর তালুকদার নামের এক ব্যক্তি পানি উন্নয়ন বোর্ডে এম এল এস এস পদে চাকুরী করছে ভোটার আইডি কার্ডের বয়স কমিয়ে ও ভুয়া অষ্টম শ্রেণীর সনদ দিয়ে।
তিনি বর্তমানে নিজ উপজেলা টুঙ্গিপাড়া পওর উপবিভাগে কর্মরত আছেন। তার চাকুরীর আইডি হচ্ছে ৮২০১০৫০০৩।
তাহার পূর্বের ভোটার আইডি কার্ড নং১৯৭৮৩৫১৯১৩৮৭২৬৯২৬
জন্ম তারিখ -০৫-০৭-১৯৭৮ ইং,শিহ্মাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণী পাশ যাহা গোপালপুর ৫নং অংশ ভোটার এলাকার কোড-১০৬১, ভোটার ক্রমিক নং-২১৯. ভোটার নং ৩৫১০৬১৭২৬৯২৬
তিনি উক্ত ভোটার তালিকায় কৃষক হিসেবে ভোট প্রদান করেছেন যাহা উক্ত ভোটার তালিকায় সুস্পষ্ট।
পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরীতে প্রবেশের উদ্দেশ্যে বয়স না থাকায় তিনি বয়স কমিয়ে জন্ম তারিখ ০৫-০১-১৯৮২ ইং দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন করেন এবং এই জন্ম নিবন্ধন তারিখ অনুসারে সুকৌশলে গোপালপুর পঞ্চপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের করনিক মনিমোহনের সাথে আতাত করে ০২-০২-২০১৯ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষকের সই জাল করে অষ্টম শ্রেণির একটি সনদ গ্রহন করেন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার একই রাখেন বলে এলাকা সূত্রে জানা যায়।
আরও জানা যায়, তার বিরুদ্ধে বিগত সময়ে স্থানীয় কয়একটি পত্রিকাতেও নিউজ প্রকাশিত হয়েছিলো, কিন্তু তিনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ এর কিছু নেতাদের সাথে আতাত রেখে সব ধামাচাপা দিয়ে দেন।
সরেজমিনে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানাযায় এই দিপঙ্কর ছোটবেলা থেকে মাছ ধরতেন, এটাই ছিলো তার পেশা।
কখনোই সে হাইস্কুলে পড়াশোনা করেননি বলে ও বলেন তারা, তারা আরও বলেন দিপঙ্কর তালুকদার অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছেন এমন কোনো প্রকার দালিলিক প্রমাণ নেই।
এছাড়াও এই দিপঙ্কর তালুকদার গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর বাইপাস সড়ক ও গাড়ির স্টান্ড করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের এলএ কেস নং- ৫/২০০৯-২০১০ মোতাবেক ৮৪.৭৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহনকরেন।
উক্ত জায়গা টি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ও কোটালিপাড়া উপজেলার সংযোগস্থল, উক্ত অধিকরনকৃত জায়গায় অবৈধভাবে দোকানঘর তুলে দখল করে সুবিধা ভোগ করছেন এ দিপঙ্কর তালুকদার ও তার বংশের কিছুলোকমিলে জানান এলাকাবাসী।
দিপঙ্কর তালুকদারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে চাইলে কোনভাবেই সম্ভব হয়নি। তার কর্মস্থলে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে বারবার কলকরার পর একবার রিসিভকরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি বলেন আমি এলাকার বাহিরে দূরে আছি।
একপর্যায়ে ফোন কলে তিনি সাংবাদিকদের টাকার অফার দেন নিউজ না করার জন্য।
সর্বশেষ এলাকার সুশীল জনগনের একটাই দাবী বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।