কাজিরহাট ভাষানচরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১জন আহত।
স্টাফ রিপোর্টার :
বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার ভাষানচর দফাদারহাটে পাওনা টাকা কেন্দ্র করে গতকাল (রবিবার) বিকাল ৪টার দিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিমুল নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী খোকন মাতুব্বর ও তার সহযোগীদের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিমুল জানান,পাওনা টাকা চাইতে গেলে খোকন মাতুব্বর ও সুজনসহ তাদের সহযোগীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ধারালো ডেগার দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। এতে শিমুলের গলা ও হাতে গভীর জখম হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
শিমুলের সঙ্গী হালিম জানান, পাওনা টাকা চাইতেই খোকন মাতুব্বর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “খোকন মাতুব্বর বিএনপির নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খোকন মাতুব্বর (পিতা: মোতাহার মাতুব্বর) ও তার সহযোগী সুজন (পিতা: শাহজাহান) ভাষানচর ইউনিয়নে যুব দল ও ছাএ দলের নাম ব্যবহার করে নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। খোকন মাতুব্বর স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের ছবি ব্যবহার করে পোস্টার-ফেস্টুন লাগিয়ে রাজনৈতিক পরিচয় জাহির করেন।
এছাড়া স্থানীয় বিএনপি নেতা আমির আকনের নাম ভাঙিয়ে তিনি এলাকায় দাপট দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে। ভাষানচর ইউনিয়নের এক নারী জানান, খোকন মাতুব্বর তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। অন্য এক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, খোকন ছেলে-মেয়েদের একসাথে দেখলেই আটকিয়ে অর্থ আদায় করে।
এছাড়া সরকারি স্কুলের জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এলাকার কয়েকজন প্রবীণ বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, “খোকন মাতুব্বর রাজনৈতিক নেতাদের নাম ব্যবহার করে এলাকায় জুলুম, নির্যাতন ও চাঁদাবাজি চালাচ্ছে। এর ফলে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।”
ভাষানচর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে খোকন মাতুব্বরকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে এলাকায় অশান্তি আরও বাড়বে।