যশোর জেলা প্রতিনিধি: বেটার বৌ তথা বৌমা এক শাশুড়িকে নির্মমভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। শাশুড়ি যাশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করছেন। তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আহত এই নারীর নাম গোলে খাতুন ( ৬৫)। তার স্বামী হায়দার মোড়ল। হতভাগা এই শাশুড়ির বাড়ি মনিরুমপুর উপজেলার হরিহরনাগর ইউ পির গ্রাম কায়েমকোলায়। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেম্বার অভিযুক্ত এই গুরুতর অপরাধী হত্যা প্রচেষ্টাকারী ভয়ঙ্কর নারী বেটার বৌ কে পুলিশে সর্পদ না করে গোপনে তার পিতা মাতার হাতে তুলে দিয়েছেন। ঘটনাটি গত ২৩ এপ্রিল রাতে ঘটে তবে এলাকাবাসী জানতে পারে দুই দিন পর। এখানেও সেই মেম্বারের কারসাজি।
আহত এই প্রবীণ নারীর দেহে ৪২টি কোপের দাগ রয়েছে। তাকে জখমকারী বেটার বৌ এর বাড়ি সদর উপজেলার সাড়াপোল রূপদিয়ায়।
মা মমতাজের পরামর্শে টুকটুকি তার শাশুড়িকে কুপিয়ে মাতাত্মক জখম করে।
টুকটুকির বাপের বাড়ি যাশোর সদর উপজেলার। অভিযোগ রয়েছে শাশুড়ি কে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার পর গ্রামবাসী জেনে যায় এবং তাকে ধরে স্থানীয় মেম্বর জাহাঙ্গীরের হেফাজতে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। টুকটুকির পিতা কুতুব, মাতা ও কথিত একজন সেখানে হাজির হয়ে মেম্বরের সাথে একান্তে আলাপ সেরে তাকে গোপনে বাড়ি চলে আসে। গ্রামবাসীর ধারণা মেম্বার টাকা উতকোচ নিয়ে বেটার বৌ কে তার পিতা মাতার হাতে উঠিয়ে দিয়েছে। নতুবা এত জঘন্য অপরাধ করেও সে কিভাবে পার পেতে পারে।
কায়েমকোলা গ্রামবাসী এহেন অসামাজিক বেটার বৌ কে প্রশাসনের হাতে উঠিয়ে দিয়ে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আশা করলেও মেম্বরের হঠকারি সিদ্ধান্তে হয়েছে তার উল্টো। এ ঘটনায় গ্রামবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। সেখানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হু/ক
Leave a Reply